South Point School

ওষুধের ওভারডোজ়, সাউথ পয়েন্টের ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু, পড়ার চাপেই কি এই ঘটনা?

সাউথ পয়েন্ট স্কুলের দশম শ্রেণির পড়ুয়া নীলাদ্রি মান্নার সঙ্গে আগেও ওষুধের ওভারডোজ়ের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কেন সে এমন করত, তার কোনও সদুত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। পুলিশেও অভিযোগ দায়ের হয়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:৩৩
Share:

— প্রতীকী ছবি।

ওষুধের ওভারডোজ়ের কারণে মৃত্যু হল ১৫ বছরের এক স্কুলছাত্রের। ওষুধ খাওয়ার ঘটনাটি ঘটে গত সোমবার। বুধবার সন্ধ্যায় বাঘাযতীনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, দশম শ্রেণির ছাত্রটির মৃত্যু হয়েছে ওষুধের ওভারডোজ়ের জেরেই। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। যদিও পরিবারের তরফে এ ব্যাপারে থানায় কোনও অভিযোগ করা হয়নি।

Advertisement

দক্ষিণ কলকাতার নাকতলার বাসিন্দা ৪৭ বছরের নভনীত মান্নার ছেলে ১৫ বছরের নীলাদ্রি। সাউথ পয়েন্ট স্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়ত। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২ অক্টোবর, সোমবার অসুস্থতা নিয়ে তাকে বাঘাযতীনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেই সময় নীলাদ্রির বাড়ির লোকেরা হাসপাতালকে জানিয়েছিলেন, আত্মহত্যা করার উদ্দেশে নীলাদ্রি বেশি পরিমাণের ওষুধ খেয়ে নিয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর নীলাদ্রির মায়ের অনুরোধে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়। পর দিন অর্থাৎ, মঙ্গলবার, আবার সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে নিয়ে আবার আসা হয় বাঘাযতীনের সেই হাসপাতালেই। সেখানে তাকে ভর্তিও করানো হয়। বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে নীলাদ্রির মৃত্যু হয়। আগেও ওষুধের ওভারডোজ়ের ঘটনা ঘটেছিল নীলাদ্রির সঙ্গে। সূত্রের খবর, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার অর্থাৎ প্রেশারের ওষুধ বেশি মাত্রায় খেয়ে নিয়েছিল নীলাদ্রি।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কেন বেশি মাত্রার প্রেশারের ওষুধ খেল নীলাদ্রি? তার উপর কি পড়াশোনা বা অন্য কোনও চাপ ছিল? সেই কারণেই কি বার বার এই ঘটনা? পাশাপাশি, জল্পনা তৈরি হয়েছে, নীলাদ্রি কি প্রেশারের ওষুধ খেত, না কি বাড়ির অন্য কারও প্রেশারের ওষুধ খেয়ে সে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিল?

Advertisement

ঘটনায় একাধিক প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। মৃত পড়ুয়ার বাড়ির তরফ থেকে থানায় এ ব্যাপারে কোনও অভিযোগও করা হয়নি। যদিও পুলিশ বসে নেই। সূত্রের খবর, অটোপ্সির রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে মনে করছেন পুলিশ আধিকারিকরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement