এই ভাবেই ঢেকে দেওয়া হচ্ছে দক্ষিণ দমদম পুর এলাকার বাতিস্তম্ভ। নিজস্ব চিত্র
দশ মাস আগে দক্ষিণ দমদমের জমা জলে বাতিস্তম্ভে হাত লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনার পরে জয়েন্ট বক্সের ঢাকনা টেপ দিয়ে ঢেকে দিয়েছিল পুরসভা। কিন্তু ওই ঘটনার পরে চলতি বর্ষাতেও দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় বেশ কিছু জায়গায় জয়েন্ট বক্সের ঢাকা খোলা বা ঢাকা না থাকার ছবি দেখা গিয়েছে। কলকাতা পুর এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একাধিক মৃত্যুর ঘটনার পরে নড়ে বসেছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা।
এ বার পুর এলাকার প্রতিটি বাতিস্তম্ভের গোড়া থেকে ৭-৮ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত টেপ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। এর আগে শুধু জয়েন্ট বক্সের অংশটুকুই ঢাকা হয়েছিল। পুরসভা সূত্রের খবর, তার পরেও দেখা যায়, কিছু জায়গায় ওই ঢাকা চুরি হয়ে যাচ্ছে। বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, লোহার ঢাকনাগুলি চুরি হয়ে যাওয়ায় সমস্যা বেড়েছে। বছরভর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং নজরদারি চালালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঠেকানো সম্ভব হবে বলে মত তাঁদের। পুরসভা সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই এই নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
২০২১ সালে দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় শ্রেয়া বণিক এবং অনুষ্কা নন্দী নামে দুই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল, এক দিকে যেমন বাতিস্তম্ভের জয়েন্ট বক্স খোলা থাকছে, তেমনই বৃষ্টিতে এলাকায় জল জমলে সময় মতো বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ক্ষেত্রে প্রশাসনের তৎপরতার অভাব রয়েছে। যদিও পুরসভার দাবি ছিল, টানা বৃষ্টিতে জল জমে গেলে বিপদ এড়াতে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (আলো) পার্থ বর্মা শুক্রবার জানান, জয়েন্ট বক্সের ঢাকনা উধাও হয়ে যাওয়া এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনা আটকাতে নতুন বাতিস্তম্ভগুলিতে জয়েন্ট বক্স এমন উচ্চতায় লাগানো হবে যাতে তা সহজে নাগালে না আসে। তবে পুরনো বাতিস্তম্ভের ক্ষেত্রে এখনই সেই কাজ করা সম্ভব নয়। তাই, আপাতত বাতিস্তম্ভের গোড়া থেকে ৭-৮ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত টেপ দিয়ে মুড়ে দেওয়া হচ্ছে।