প্রতীকী ছবি।
মশা নিধনের কাজে গেলে কেউ কেউ বাড়িতে ঢুকতেই দিতে নারাজ। কেউ আবার রীতিমতো দুর্ব্যবহার করেন। অতীতে মশা নিয়ন্ত্রণের কাজে গিয়ে এমন বহু অভিজ্ঞতা হয়েছে পুরকর্মীদের। এমনকি, কাজ না করেই ফিরতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। সেই অভিজ্ঞতাকে মাথায় রেখেই এ বার তেমন পরিস্থিতিতে ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ডিং করে তা পুরসভায় জমা দিতে নির্দেশ দিল দক্ষিণ দমদম পুরসভা।
সম্প্রতি মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ করা নিয়ে পুরকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুর কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জল
জমেছে কি না অথবা কারও জ্বর হয়েছে কি না, সেই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুরকর্মীদের একাংশের মতে, এর আগে বেশ কিছু বাড়িতে তাঁদের ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। দুর্ব্যবহারও করেছেন কেউ কেউ। অথচ দেখা গিয়েছে, অনেক বাড়িতেই ডেঙ্গির সংক্রমণ ঘটেছে। সেই সব বাড়িতে পরে মশার লার্ভার সন্ধান মিলেছে। চৌবাচ্চায়, ছাদে, ভাঙা টব বা বালতিতে জমে থাকা জলে মিলেছে মশার লার্ভা।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার মুখ্য প্রশাসকও জানাচ্ছেন, বার বার বলা সত্ত্বেও বাসিন্দাদের একাংশ আমল দিতে চান না। কিন্তু এ বার থেকে এমন ঘটনা আর বরদাস্ত করা হবে না। পুর আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, কারও অসহযোগিতার জন্য এলাকায় রোগের প্রকোপ বাড়তে দেওয়া যায় না। তাই এ বার থেকে কেউ অসহযোগিতা করলে সেই ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ডিং করে তা পুরসভায় জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুরকর্মীদের। তার পরে প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নিয়ে আইনি পদক্ষেপ করবে পুরসভা। তাই জনস্বার্থেই পুরকর্মীদের সঙ্গে সহযোগিতা করার আবেদন করেছে পুরসভা।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের মতে, অনেক ক্ষেত্রে পুরকর্মীদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি ঘটে থাকে। সে ক্ষেত্রে আবাসিক সমিতিগুলিকে কাজে লাগালে বা আগে থেকে সময়
জানিয়ে দেওয়া থাকলে বাসিন্দাদের সুবিধা হয়। তাঁদের আরও বক্তব্য, মশা নিধনে শুধু বাড়িতেই নয়, বন্ধ বা পরিত্যক্ত কারখানা এলাকা, গ্যারাজ ও দোকান-বাজারের দিকেও নজর দিক পুরসভা।