মৃত্যু হল কোমায় থাকা তরুণীর

রানিগঞ্জের বাসিন্দা বছর ঊনচল্লিশের সোমিয়ার ডিম্বাশয়ের টিউমার মালিগন্যান্ট হওয়ায় সেটির অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২০ ০১:১৮
Share:

সোমিয়া মজুমদারে

সাত দিনের লড়াই শেষ। ঢাকুরিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে থাকা তরুণী সোমিয়া মজুমদারের (৩৯) মৃত্যু হল বুধবার। তরুণীর এই পরিণতির জন্য এ দিনও বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন মৃতার বোন রুমিয়া মজুমদার এবং মামা সুকুমার রায়।

Advertisement

রানিগঞ্জের বাসিন্দা বছর ঊনচল্লিশের সোমিয়ার ডিম্বাশয়ের টিউমার মালিগন্যান্ট হওয়ায় সেটির অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছিল। সে জন্য গত ২৩ ডিসেম্বর ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। রোগীর পরিজনেদের অভিযোগ, পরের দিন অস্ত্রোপচারের পরে চিকিৎসক প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছিলেন, অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। সোমিয়া ভাল আছেন।

কিন্তু এর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই রোগীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হয়। মস্তিষ্কে কয়েক মিনিটের জন্য রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কোমায় চলে যান তরুণী। সেই থেকে ভেন্টিলেশনে ছিলেন সোমিয়া।

Advertisement

রোগীর মামা সুকুমার রায়ের অভিযোগ ছিল, অস্ত্রোপচারের পরে অ্যানাস্থেটিস্ট তাঁর দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করলে তাঁর ভাগ্নির এমন অবস্থা হত না। বুধবার বিকেলে চিকিৎসকেরা সোমিয়াকে মৃত ঘোষণা করার পরে ফের একই অভিযোগ জানিয়ে সুকুমারবাবু বলেন, ‘‘আমরা সোমিয়ার মৃত্যুর বিচার চাই। এ জন্য আইনের পথে যত দূর যেতে হয়, যাব।’’ এ দিন বেসরকারি হাসপাতালটির তরফে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অভ্যন্তরীণ তদন্ত করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement