মেডিক্যাল কলেজে এমসিএইচ ভবনে ধোঁয়া ঘিরে আতঙ্ক। নিজস্ব চিত্র।
মেডিক্যাল কলেজের এমসিএইচ ভবনের নীচের তলায় ধোঁয়া বেরোতে দেখা যাওয়ায় আগুনের আতঙ্ক ছড়াল। ওই ভবনের নীচের তলাতে অব্যবহৃত একটি লিফ্ট রয়েছে। সেই লিফ্টের নীচ থেকেই ধোঁয়া বেরোতে দেখা গিয়েছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। তবে দ্রুত সেই জায়গা চিহ্নিত করে হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা দিয়েই তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
খবর দেওয়া হয় দমকলকেও। ঘটনাস্থলে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন যায়। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে বলে হাসপাতালে সূত্রে জানানো হয়। শর্ট সার্কিটের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে কি না তা খতিয়ে দেখছে দমকল। হাসপাতালের ১ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশপথের পাশেই রয়েছে এই ভবনটি। এর দোতলায় রয়েছে গবেষণাগার। এ ছাড়াও রোগীদের ওয়ার্ডও আছে। তবে নীচের তলায় পরিত্যক্ত লিফ্টের নীচে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যেতেই সঙ্গে সঙ্গে তা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
হাসপাতাল সুপার অঞ্জন অধিকারী জানিয়েছেন, এমসিএইচ ভবনের নীচের তলায় নতুন লিফ্ট বসানোর কাজ চলছিল। তার জন্য কিছু খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছিল। সেখানেই আগুন লেগেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। সুপার আরও জানিয়েছেন, যে হেতু এই ভবনটি অত্যন্ত পুরনো, তাই কোনও ভাঙাচোরা বা বিদ্যুৎ সংক্রান্ত কিছু কাজ করতে গেলে সমস্যা হয়। বার বার মেরামত করার পরেও এই ভবনে ছোট-বড় অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটছে। এই ধরনের ঘটনা যাতে আগামী দিন না ঘটে তা দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবারের ঘটনা প্রসঙ্গে সুপার বলেন, “কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা তদন্ত করে দেখা হবে।”
এই এমসিএইচ ভবনেই গত বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময় ওই ভবনের চার তলায় আর্ট সেন্টারে হেমাটোলজির গবেষণাগারে আগুন লেগেছিল। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সুপার অঞ্জন অধিকারী তখন জানিয়েছিলেন, হাসপাতালের গবেষণাগারে আগুন লাগে। সেখানে কেউ ছিলেন না। তাই রোগীদের সরাতে হয়নি।