—প্রতীকী চিত্র।
পরিবেশ সংরক্ষণ এবং সামাজিক উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে কী ভাবে ব্যবসাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তা জানাতে এবং সেই বিষয়ে শিখতে আমেরিকার ব্র্যাডলি বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেন এই রাজ্যের ছ’জন মহিলা ক্ষুদ্র উদ্যোগপতি। তাঁদের সঙ্গে গিয়েছেন সিকিমের দু’জন।
বিষয়টির নেতৃত্ব দিচ্ছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, আমেরিকার ইলিনয় প্রদেশের ব্র্যাডলি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এমপাওয়ারিং উইমেন গ্লোবালি’ শীর্ষক এই কর্মসূচির সঙ্গে প্রায় দশ বছর যুক্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। স্থানীয় ভাবে মহিলারা যাতে ছোট ব্যবসায় উন্নতি করতে পারেন, সেই বিষয়ে তাঁদের পরামর্শ দিতে উদ্যোগী হচ্ছে আসানসোলের বি বি কলেজ, হাওড়ার রামসদয় কলেজ, দুর্গাপুর কলেজ, ইস্ট ক্যালকাটা গার্লস কলেজের ম্যানেজমেন্ট ও বাণিজ্য বিভাগের পড়ুয়ারা।
শর্মিষ্ঠা জানান, এই ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই স্কলারশিপ নিয়ে ব্র্যাডলি-সহ আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও তালিমের জন্য যান। এ বার এই স্কলারশিপ পেয়েছেন আট মহিলা ছোট উদ্যোগপতি, যাঁরা ব্যবসার মাধ্যমে পরিবেশ এবং সামাজিক উন্নয়নে উদ্যোগী হয়েছেন। এঁদের কেউ সৌরশক্তি নিয়ে কাজ করেন, কেউ কেক তৈরি করেন, কেউ বানান জৈব সাবান, আবার কারও পাট থেকে বিভিন্ন জিনিস তৈরির কারখানা রয়েছে। তাঁরা এ বার ব্র্যাডলি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে তাঁদের কর্মযজ্ঞের কথা জানাবেন। এরই সঙ্গে শিখবেন, কী ভাবে ব্যবসাকে আন্তর্জাতিক স্তরে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। থাকবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে মত বিনিময়ের মঞ্চও।
অন্যদের মধ্যে মতামত জানাবেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অভীক মুখোপাধ্যায়, আসানসোল বি বি কলেজের শান্তনু মল্লিক, উদ্যোগপতি মহুয়া দত্ত এবং অনভিতা রাস্তোগি। শর্মিষ্ঠা আরও জানালেন, এ বারে এই কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ও। গোটা কর্মসূচি প্রসঙ্গে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে বলেন, ‘‘বিষয়টি অত্যন্ত উৎসাহজনক।’’