জ্বালানি ভরতে শহরে অতিথি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিমান

এই যাত্রাপথের মাঝেই রবিবার বিকেলে মায়ানমার থেকে উড়ে এসে কলকাতায় নামে ‘স্পিটফায়ার’। জ্বালানি ভরতে। সোমবার সকালে সেটি উড়ে যায় নাগপুর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৩৫
Share:

ঐতিহাসিক: দমদম বিমানবন্দরে সেই ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান (উপরে)। গায়ে লেখা সেটির নাম (ডান দিকে) নিজস্ব চিত্র

কলকাতার মাটি ছুঁয়ে গেল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে শত্রু শিবির ধ্বংস করা ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান ‘স্পিটফায়ার’।

Advertisement

গত অগস্ট মাসে ইংল্যান্ড থেকে সেই বিমানে রওনা হয়ে বিশ্ব ভ্রমণে বেরিয়েছেন স্টিভ ব্রুকস এবং ম্যাথু অ্যালেন জোন্স। সঙ্গী এক ইঞ্জিনিয়ার এবং গোটা যাত্রাপথের উপরে তথ্যচিত্র নির্মাণকারী আরও পাঁচ জন।

এই যাত্রাপথের মাঝেই রবিবার বিকেলে মায়ানমার থেকে উড়ে এসে কলকাতায় নামে ‘স্পিটফায়ার’। জ্বালানি ভরতে। সোমবার সকালে সেটি উড়ে যায় নাগপুর। কলকাতা ছাড়ার আগে সোমবার পাইলট জোন্স বলে যান, ‘‘শুধু ব্রিটিশরা নন, সেই সময়ে প্রচুর ভারতীয় এই যুদ্ধবিমান চালাতেন। বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেওয়া এমন কয়েক জন ভারতীয় পাইলটের খোঁজে আমরা মঙ্গলবার রাজস্থান যাব। সেখানে ভারতীয় বায়ুসেনার সঙ্গে আমাদের বৈঠকও রয়েছে।’’

Advertisement

১৯৪৫ সালে যে যুদ্ধে ইতি পড়েছিল, সেই যুদ্ধে ব্যবহার করা এক আসনের এই যুদ্ধবিমান নিয়ে বিশ্বভ্রমণে বেরোনোর আগে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে জোন্সদের। প্রায় দু’বছর ধরে বদলে ফেলা হয়েছে যুদ্ধবিমানের অনেকটাই। বাদ দেওয়া হয়েছে বিমানের যাবতীয় অস্ত্রশস্ত্র। বাড়ানো হয়েছে আসনের সংখ্যা। নাম দেওয়া হয়েছে ‘সিলভার স্পিটফায়ার’।

ইতিহাস জানাচ্ছে, সে সময়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেওয়া ব্রিটিশ সেনার হাতে ছিল এই স্পিটফায়ার এবং যুদ্ধের সময়ে কলকাতা থেকে নিয়মিত ওঠানামা করত এই বিমান। তখন কলকাতার রেড রোডকে রানওয়ে হিসেবে ব্যবহার করা হত। তা ছাড়া, ব্যারাকপুর-সহ অন্যান্য ঘাঁটি থেকেও নিয়মিত চলাচল করত ‘স্পিটফায়ার’।

জোন্স জানিয়েছেন, প্রায় ২৭ হাজার মাইল উড়ে ২৫টি দেশের বহু শহর ছুঁয়ে যাবেন তাঁরা। একটানা ৩০০ কিলোমিটারের বেশি ওড়া যাবে না বলেই জ্বালানি ভরতে বারবার বিভিন্ন শহরে নামতে হবে তাঁদের। ভারত থেকে বেরিয়ে পাকিস্তান ঘুরে তাঁরা পশ্চিমে উড়ে যাবেন বলেও জোন্স এ দিন জানিয়েছেন। জোন্সের কথায়, ‘‘বড়দিনের আগে বাড়ি ফিরতে চাই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement