গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
পুকুরে মাছ ছাড়াকে কেন্দ্র করে শরিকি বিবাদে রবিবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দেগঙ্গা থানার চাকলার রায়কোলা। জখম অবস্থায় রাতভর তালাবন্দি হয়ে ঘরে আটকে রইলেন এক পরিবারের পাঁচ সদস্য। অভিযোগ, এক বৃদ্ধ, এক তরুণী-সহ জখম ওই পরিবারকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে অ্যাম্বুল্যান্স এলেও সেটিকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সোমবার দু’পক্ষের অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দু’পক্ষের জখম আট জনের বারাসত হাসপাতালে চিকিৎসাও চলছে।
একটি পরিবারের জখম সদস্যদের আরও অভিযোগ, সোমবার সকালে অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ে মাঝপথে বেড়াচাঁপায় তাঁদের নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান অ্যাম্বুল্যান্স চালক। অভিযোগ, অন্য পক্ষের থেকে ফোনে হুমকি পেয়ে জখমদের রাস্তায় নামিয়ে দিতে বাধ্য হন চালক। পরে মোটরভ্যানে চাপিয়ে জখমদের স্থানীয় বিশ্বনাথপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক পাঁচ জনকে বারাসত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। পরিবারের এক তরুণীকে ছুরি জাতীয় কিছু দিয়ে পেটে আঘাত করা হয় বলেও অভিযোগ জানিয়েছে আক্রান্ত পরিবারটি।
এ দিন হাসপাতালে শুয়ে জখম মেকাইল মণ্ডল বলেন, ‘‘আমার পুকুরে আমি মাছ ছেড়েছি কেন তা নিয়ে আমাকে প্রথমে গালিগালাজ করে আমার এক ভাই ও ভাইপোরা। প্রতিবাদ করায় রবিবার রাত ১০টা নাগাদ বাড়িতে লাঠি, ধারাল অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মেয়ের পেটে ছুরি মারে। বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে আমাদের আটকে রেখে চলে যায়।’’
পাল্টা হামলার অভিযোগ তুলে ইকবাল হোসেন নামে আর এক শরিক বলেন, ‘‘আমাদের পুকুরে ওরা জোর করে মাছ ছেড়েছিল। আমরা বাধা দিতে গেলে ওরা আমাদের উপরে চড়াও হয়। আমাদের পরিবারের ৩ জন জখম হয়েছে।’’