Kasba

বেসরকারি স্কুলের আবেদনেই পদক্ষেপ, কসবায় জল ফিরতে সাফাই পুরপ্রতিনিধির

গত বৃহস্পতিবার থেকে কসবার রাজডাঙার পূর্বপাড়ার একাংশে জলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় বলে খবর পাওয়া যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫ ০৯:২১
Share:
জলের সংযোগ ফিরে পেল কসবার প্রায় ৬০টি পরিবার।

জলের সংযোগ ফিরে পেল কসবার প্রায় ৬০টি পরিবার। —প্রতীকী চিত্র।

ছ’দিনের মাথায় অবশেষে জলের সংযোগ ফিরে পেল কসবার প্রায় ৬০টি পরিবার। বুধবার সকাল থেকেই জল পাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন ওই সমস্ত পরিবারের সদস্যেরা। যদিও পুরসভার দাবি, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশ মতো মঙ্গলবার বিকেলেই কেটে দেওয়া জলের সংযোগ জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। যাঁর বিরুদ্ধে জলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, কলকাতা পুরসভার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের সেই পুরপ্রতিনিধি লিপিকা মান্না অবশ্য এ দিন দাবি করেছেন, স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলের সমস্যা
হচ্ছে বলে চিঠি পাওয়ার পরেই তিনি কল অন্যত্র সরাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। সেই কারণেই কয়েক দিন সমস্যা হচ্ছে। তবে, তিনি এ দিনও তাঁর অনুগামী না হওয়ার কারণে জলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার অভিযোগ মানতে চাননি। লিপিকার মন্তব্য, ‘‘ভাল কাজ করতে গিয়েছিলাম। এক শ্রেণির মানুষ তা নিয়ে অহেতুক বিতর্ক তৈরি করলেন।’’

Advertisement

গত বৃহস্পতিবার থেকে কসবার রাজডাঙার পূর্বপাড়ার একাংশে জলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় বলে খবর পাওয়া যায়। স্থানীয় অন্তত ৬০টি পরিবার এর জেরে সমস্যায় পড়েছিল বলে অভিযোগ করেন পাশের ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি সুশান্ত ঘোষ। ভুক্তভোগীদের দাবি, তাঁরা সুশান্তের অনুগামী। লিপিকার কার্যালয়ে হাজিরা দিতে যান না বলেই তাঁদের জলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। সুশান্ত এ নিয়ে বলেন, ‘‘এলাকার লোকজনের সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে। তাই তাঁরা আমাকে জানিয়েছিলেন। আমি মেয়রকে বলে পরিষেবা পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।’’ যদিও শাসকদলের দুই পুরপ্রতিনিধির এই তরজা নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিয়েছে।

মঙ্গলবারই মেয়র বলেছিলেন, ‘‘জলের কল বন্ধ করা ঠিক হয়নি। ওই কলগুলি পুনরায় চালু করতে কাজ শুরু হয়েছে।’’ পুরসভার জল সরবরাহ দফতর সূত্রে দাবি করা হয়েছে, কসবার রাজডাঙার পূর্বপাড়ার ওই অংশে গত দেড় মাস ধরে ১৬০ মিটার লম্বা জলের পাইপ বসানোর কাজ চলছিল। সেই কাজ শেষ হয়েছে। ২৪টি জলের কল ইতিমধ্যেই বসানো হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলেই সংযোগ কেটে দেওয়া চারটি কলের সংযোগের কাজ শেষ হয়েছে। লিপিকা এ দিন বলেন, ‘‘সুষ্ঠু পরিষেবার লক্ষ্যে সাধারণ মানুষকে আমি একটি
সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে জল দিতে চেয়েছিলাম। যে চারটি কল বন্ধ করা হয়েছিল, তার মধ্যে দু’টি স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলের পিছনে ছিল। সেখানে বস্তিবাসীদের ভিড় হত। ২০২২ সালে ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাকে চিঠি লিখে জানান, ওই কল একটু দূরে সরালে ভাল হয়। সেই মতো একটু দূরে নতুন জলের কল বসানোর কাজ শুরু করি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement