—ফাইল চিত্র
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির ফাইনাল-সহ ইভেন সিমেস্টারের অনলাইন পরীক্ষা ৬ ঘণ্টা থেকে ২৪ ঘণ্টা ধরে নেওয়া নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশনের (এআইসিটিই) চেয়ারম্যান অনিল সহস্রবুদ্ধে সোমবার আনন্দবাজারকে জানালেন, পরীক্ষা নেওয়ার জন্য কতটা সময় দেওয়া হচ্ছে তার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ, প্রশ্নপত্র কেমন হচ্ছে। তাঁর মত, যে প্রশ্নপত্রের উত্তর দেওয়ার জন্য প্রতিটি পরীক্ষার্থীর উদ্ভাবনী শক্তির প্রকাশের অবকাশ থাকবে, তার জন্য তাঁকে সময় দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু গতানুগতিক প্রশ্নপত্রে এত সময় ধরে পরীক্ষা নিলে নকল করার আশঙ্কা থেকে যায়।
এআইসিটিই-র চেয়ারম্যানের বক্তব্য, এই অতিমারির সময়ে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয়েছে তাদের রাজ্য এবং এলাকার পরিস্থিতি বুঝে পরীক্ষা নিতে। তবে ইউজিসি-র নির্দেশের নির্যাস যেন মেনে চলা হয়। তিনি বলেন, ‘‘কেউ ওপেন বুক এগজ্যামও নিতে পারে। তার জন্য সময়ও বেশি দিতে পারে। আসল কথা, পরীক্ষার্থীর উদ্ভাবনী শক্তির প্রকাশের অবকাশ যাতে থাকে, তেমন প্রশ্ন করতে হবে। গতানুগতিক প্রশ্নপত্রে দীর্ঘ সময় ধরে পরীক্ষা নিলে নকলের আশঙ্কা থাকে।’’
সম্প্রতি যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টিতে ১২ ঘণ্টা ধরে সিমেস্টারের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তে বিতর্ক শুরু হয়। আপত্তি ওঠে শিক্ষকদের মধ্যে থেকেই। রবিবার ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের বৈঠকে ঠিক হয়, বিভাগগুলি তাদের মতো সময়সূচি ঠিক করুক। সে ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনও বিভাগ ৬ ঘণ্টা ধরে পরীক্ষা নেবে, কেউ ১২ ঘণ্টা। কিছু বিভাগ আবার ২৪ ঘণ্টা ধরে পরীক্ষা নেবে। সেই সূচি অনুযায়ী সোমবার শুরু হয়েছে পরীক্ষা।
ইউজিসি-র নির্দেশ রয়েছে, দুই অথবা তিন ঘণ্টার মধ্যে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের চূড়ান্ত সিমেস্টার এবং চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নিতে হবে। গত এপ্রিলে ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষা ২৪ ঘণ্টা ধরে নেওয়া হয়েছিল। এর পরে স্থির হয়, পরবর্তী ইভেন সিমেস্টারের পরীক্ষা ৬ ঘণ্টার মধ্যে নেওয়া হবে। তাতে আপত্তি তোলে বিভাগীয় ছাত্র সংসদ। শেষ পর্যন্ত ১৮ মে বৈঠকে ন্যূনতম ১২ ঘণ্টা ধরে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তাতে আবার
আপত্তি তোলে জুটা। এর পরেই বিভাগগুলির উপরে পরীক্ষার সময় ছেড়ে দেওয়া হয়।