আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন। —ফাইল চিত্র।
এ বার কর্মবিরতি পালন করবেন সিনিয়র ডাক্তারেরাও। জুনিয়রদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। শুক্রবার সকালে এক ঘণ্টার জন্য ওই হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তার এবং মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপকেরা কর্মবিরতি পালন করবেন। সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চলবে সিনিয়রদের কর্মবিরতি। আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদে বিচার চেয়ে এবং হাসপাতালে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থন করেই শুক্রবার এক ঘণ্টার কর্মবিরতিতে যোগ দেবেন এনআরএসের সিনিয়র ডাক্তারেরা।
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে বৃহস্পতিবার এনআরএসের চিকিৎসক এবং চিকিৎসক পড়ুয়াদের কাউন্সিলের একটি বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকেই পড়ুয়াদের তরফে শুক্রবার এক ঘণ্টার জন্য প্রতীকী কর্মবিরতি পালনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কলেজ কাউন্সিল প্রস্তাবে সায় দিয়েছে। এনআরএস হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারেরা আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছেন। তাঁদের সঙ্গে শুক্রবার যোগ দেবেন সিনিয়রেরাও। সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সিনিয়রেরাও কাজ করবেন না।
এনআরএসের এক জুনিয়র ডাক্তার পুলস্ত্য আচার্য এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘বিচারের দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলছে। প্রথম থেকেই আন্দোলনে সিনিয়রদের সমর্থন পেয়েছি। আমাদের আন্দোলনের পাশে থাকার জন্য এক ঘণ্টার প্রতীকী কর্মবিরতি পালিত হবে শুক্রবার সকালে। সিনিয়র ডাক্তার এবং অধ্যাপকেরা কর্মবিরতি পালন করবেন।’’
তবে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের পাশে থাকলেও সিনিয়রেরা কিন্তু পূর্ণ কর্মবিরতি চাইছেন না। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে বিকল্প পদ্ধতির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে সিনিয়র ডাক্তারদের তরফে। পুলস্ত্য জানিয়েছেন, পূর্ণ কর্মবিরতির পথে না হেঁটে তার বিকল্প কী হতে পারে, সে বিষয়ে ভেবে দেখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের। সাধারণ মানুষের সমস্যার দিকটিও বিবেচনা করতে বলা হয়েছে ওই বৈঠকে। উল্লেখ্য, আন্দোলন নিয়ে আরজি করের জুনিয়রদের সঙ্গেও সিনিয়রদের আলোচনা হয় বৃহস্পতিবার। সেখান থেকে বেরিয়ে একাধিক সিনিয়র ডাক্তার জানান, তাঁরা আন্দোলনের পাশে আছেন। কিন্তু পূর্ণ কর্মবিরতি সমর্থন করছেন না। বিকল্প পদ্ধতিতে আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরাও।