Death

নির্মীয়মাণ আবাসনের লোহার গেট ভেঙে মৃত নিরাপত্তারক্ষী

মৃতের পরিবার জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতের ডিউটি থাকায় বাড়ি থেকেআটটা নাগাদ বেরিয়েছিলেন বিমল। রাতে ওই আবাসনের মূল গেটে ডিউটি করার সময়ে কোনও ভাবে ভেঙে পড়ে গেটটি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৩ ০৭:৩৪
Share:

বিমল দাস।

একটি নির্মীয়মাণ বহুতল আবাসনের লোহার বড় গেট চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক নিরাপত্তারক্ষীর। মঙ্গলবার রাত দুটো নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছেবেহালা থানার রায়বাহাদুর রোডে। তবে, ১০ ফুট উঁচু এবং ১৮ ফুট লম্বা বিশাল লোহার গেটটি কী ভাবে ভেঙে পড়ল, সেই প্রশ্ন তুলেছে মৃতের পরিবার।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত নিরাপত্তারক্ষীর নাম বিমল দাস (৪৭)। তাঁর বাড়ি ঘটনাস্থলের কাছেই জ্যোতিষ রায় রোডে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে অন্য কাজ করতেন বিমল। সেখানে মালিকের সঙ্গে কথা কাটাকাটিহওয়ায় দিন দশেক আগে কাজ ছেড়ে দেন। এক সপ্তাহ আগে ওই নির্মীয়মাণ আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। মৃতের পরিবার জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতের ডিউটি থাকায় বাড়ি থেকেআটটা নাগাদ বেরিয়েছিলেন বিমল। রাতে ওই আবাসনের মূল গেটে ডিউটি করার সময়ে কোনও ভাবে ভেঙে পড়ে গেটটি। তার নীচে চাপা পড়ে যান বিমল। অন্য কর্মীরাই কোনও মতে তাঁকে উদ্ধার করেবিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছিল।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, রাতে ওই নির্মীয়মাণ আবাসনটিতে কোনও কাজ হত না। তবে বিভিন্ন সরঞ্জাম থাকায় এক জন নিরাপত্তারক্ষী থাকতেন। বহুতলটির এক নির্মাণকর্মী বলেন, ‘‘মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ ভারী কিছু পড়ে যাওয়ার আওয়াজ শুনে আমরা ছুটে আসি। দেখি, বিরাট লোহার গেটটি ভেঙে পড়ে রয়েছে। কোনও রকমে সেটি সরিয়ে বিমলকে উদ্ধার করা হয়।’’ তবে গোটা ঘটনা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট নির্মাণ সংস্থার তরফে প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

Advertisement

এই ঘটনায় ধোঁয়াশায় বিমলের পরিবার। তাদের অভিযোগ, ঘটনাস্থল থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে বাড়ি হলেও সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের খবর দেওয়া হয়নি। বিমলের জামাইবাবু সনৎকুমার দত্ত বলেন, ‘‘শুনছি, রাত ২টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। কিন্তু ওই আবাসনের তরফে কেউ সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। ভোর ৫টা নাগাদ পুলিশ এসে সব জানায়।’’

জ্যোতিষ রায় রোডে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন বিমল। তাঁদের কোনও সন্তান ছিল না। বুধবার সেই বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, বৃষ্টির মধ্যে ভিড় করেছেন প্রতিবেশীরা। কেউই এই আকস্মিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না। সকলেরই প্রশ্ন, এত বড় লোহার গেটটি ভেঙে পড়ল কী ভাবে? এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে সকলের সঙ্গে কথা বলা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement