Kolkata Fire Incident

শিয়ালদহের ইএসআই হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড, দমকলের ১০টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আগুন

শুক্রবার ভোর ৫টা নাগাদ হাসপাতালের দোতলা থেকে কালো ধোঁয়া বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। খবর দেওয়া হয় দমকলকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:০৫
Share:

শিয়ালদহ ইএসআই হাসপাতালে আগুন। —নিজস্ব চিত্র।

শিয়ালদহের ইএসআই হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড। শুক্রবার ভোর ৫টা নাগাদ হাসপাতালের দোতলা থেকে কালো ধোঁয়া বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। খবর দেওয়া হয় দমকলকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। দমকলের তরফে জানানো হয়েছে, সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। আগুন লাগার খরব পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছেছেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।

Advertisement

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই হাসপাতালে ৮০ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। ভোরে যখন হাসপাতালে আগুন লাগে, তখন অনেকেই ঘুমিয়ে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে অধিকাংশ রোগীকেই নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আগুনের সম্ভাব্য উৎসস্থল মেল সার্জারি ওয়ার্ডের আশপাশ থেকে তো বটেই, আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় তিন তলা থেকেও রোগীদের নামিয়ে আনা হয়। কোনও কোনও রোগীকে মানিকতলা ইএসআই হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।কালো ধোঁয়ায় এক রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। দমকলমন্ত্রী বলেন, “পুজোর কারণে অনেক রোগীই ছুটি পেয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। বড় ক্ষয়ক্ষতি কিংবা প্রাণহানি এড়ানো গিয়েছে। দমকলকর্মীরা সাহসের সঙ্গে কাজ করেছেন।”

প্রাণহানি না ঘটলেও হাসপাতালের পরিকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কী কারণে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা, তা স্পষ্ট নয়। আগুন লাগার সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখবে দমকল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো, শুক্রবার হাসপাতালের বহির্বিভাগ (আউটডোর) বন্ধ থাকবে। কর্তৃপক্ষের এই ঘোষণার আগেই দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই চিকিৎসার কারণে হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন। তাঁদের ফিরে যেতে হয়। অন্য দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছন চিকিৎসাধীন রোগীর পরিজনেরা। আতঙ্কে অনেকেই কেঁদে ফেলেন। তবে দমকলের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত আর ভয়ের কারণ নেই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement