এনআরএস চত্বরে পাওয়া ১৬টি কুকুর শাবকের দেহ।—ফাইল চিত্র।
এনআরএস হাসপাতালের ভিতরে ১৬টি কুকুরছানা পিটিয়ে মারার মামলায় এক বছরের মাথায় চার্জ গঠন করল শিয়ালদহ আদালত। সোমবার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট শুভদীপ রায় চার্জ গঠন করেন।
অভিযুক্ত দুই নার্সিং পড়ুয়া সোমা বর্মণ ও মৌটুসী মণ্ডলকে অভিযোগ পড়ে শোনান বিচারক। সরকারি কৌঁসুলি অরূপ চক্রবর্তী আদালতে জানান, যাঁদের সেবা করা কাজ, তাঁরা নৃশংস ভাবে প্রাণী হত্যা করেছেন। অভিযোগ পড়ে শোনানোর পরে দুই অভিযুক্ত দাবি করেন, তাঁরা নির্দোষ। তাঁদের আইনজীবী নরেশ ঘোষও আদালতে জানান, তাঁর মক্কেলরা নির্দোষ ও তাঁরা বিচারের মুখোমুখি হতে রাজি। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক জানিয়ে দেন, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হবে।
পুলিশ জানায়, গত বছরের ১৩ জানুয়ারি এনআরএস হাসপাতালের নার্সিং পড়ুয়াদের আবাসনের সামনে ১৬টি কুকুরছানাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে কুকুরছানাগুলিকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে সোমা ও মৌটুসী ওই ঘটনায় জড়িত। তাঁদের বিরুদ্ধে পশুহত্যা ও তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং পশু ক্লেশ নিবারণ আইনে মামলা দায়ের হয়।
সরকারি কৌঁসুলি জানান, চার্জশিটে ২৩ জন সাক্ষীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বেলগাছিয়া পশু হাসপাতালের ময়না-তদন্তকারী চিকিৎসক মলয় মাইতি, এনআরএসের অভ্যন্তরীণ তদন্তকারী সদস্য তথা ডেপুটি সুপার চিকিৎসক দ্বৈপায়ন বিশ্বাস ও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ পি বি মাইতি।