শ্যামবাজারে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বিজেপি নেতা-কর্মীদের। —নিজস্ব চিত্র
আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার প্রতিবাদে ধর্না কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা। শ্যামবাজারে দলের নেতা-কর্মীদের টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তুলল পুলিশ। এক সময় পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তিও শুরু হয়ে যায়। আটক বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, তাঁদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ।
আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় বিচার চেয়ে ধর্না কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপি। স্থির হয়েছিল আরজি কর হাসপাতালের অদূরে শ্যামবাজার ১ নম্বর মেট্রো স্টেশনের কাছে ধর্নামঞ্চ বেঁধে প্রতিবাদ চলবে। এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারেরও। কিন্তু পদ্মশিবিরের অভিযোগ, বুধবার রাতে মঞ্চ বাঁধা হলেও বৃহস্পতিবার সেই মঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয়। তার পর ওই জায়গাতেই মঞ্চ বাঁধার তোড়জোড় শুরু করতেই বিজেপি নেতা-কর্মীদের বাধা দেয় পুলিশ। সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। পরে হাজির হন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও।
অগ্নিমিত্রাদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার আরজি কর-কাণ্ডে অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে, আর যাঁরা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তাঁদের গায়ের জোরে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পরে শ্যামবাজারে উপস্থিত হন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ, বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া। রুদ্রনীল বলেন, “সরকার অপরাধীদের বাঁচাতে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করছে। আমরা আরজি করের ঘটনায় বিচার চাই। না হলে আমরা রাস্তা থেকে সরব না।” পরে রুদ্রনীল-সহ বেশ কয়েক জনকে আটক করে পুলিশ। টেনেহিঁচড়ে তোলা হয় পুলিশের ভ্যানে।