ছবি: কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া।
আরজি করে হামলার ঘটনার পর সমাজমাধ্যমে কয়েক জনের ছবি পোস্ট করে তাঁদের সন্ধান চেয়েছিল কলকাতা পুলিশ। এর পরেই তদন্তকারীদের জালে ধরা পড়েন অনেকে। একই কৌশলে আরও কয়েক জনের সন্ধান চাইল লালবাজার। শুক্রবারও কলকাতা পুলিশের তরফে আরও কয়েকটি ছবি পোস্ট করা হয় সমাজমাধ্যমে। সেই ছবিতে কয়েক জনের মুখ চিহ্নিত করে তাঁদের খোঁজ দিতে বলা হয়েছে। লেখা হয়েছে, ‘‘সন্ধান চাই: নীচের ছবিতে যাদের চেহারা চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের সন্ধান জানা থাকলে অনুরোধ, জানান আমাদের, সরাসরি বা আপনার সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে।’’
বুধবার রাতে আরজি করে হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পোস্টে এ কথা জানিয়েছে পুলিশ। সঙ্গে এ-ও জানানো হয়েছে যে, ধৃতদের মধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে সমাজমাধ্যমের সাহায্য নিয়ে।
চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচির মধ্যেই মধ্যরাতে আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে তাণ্ডব চালান একদল ব্যক্তি। তছনছ করা হয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টার, এইচসিসিইউ (হাইব্রিড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), সিসিইউ (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), ওষুধের স্টোররুমও। হামলা চালানো হয় হাসপাতালের বাইরের চত্বরেও। ভাঙচুর করা হয় আরজি করের পুলিশ ফাঁড়ি, এমনকি চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনে দোষীদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মঞ্চও! পাশাপাশি পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর এবং পুলিশকর্মীদের উপর হামলাও চালানো হয়। কিছু ক্ষণ পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় র্যাফ। তারা এসে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় ভিড়। হামলাকারীদের একাংশকে তাড়া করে এলাকাছাড়া করে পুলিশ। কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। পুলিশের তাড়া খেয়ে একদল লোককে হাসপাতালের পাশের খালপাড় ধরে গলিপথে দৌড়তে দেখা যায়। সেখান থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট। ইটবৃষ্টিতে কয়েক জন পুলিশকর্মী জখমও হন।