Kolkata Doctor Rape and Murder

সন্দীপ এবং টালার প্রাক্তন ওসিকে সিজিও থেকে বার করা হল, স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে আনল সিবিআই

আরজি কর-কাণ্ডে প্রাক্তন ওসির পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দীপকেও। রবিবার শিয়ালদহ আদালত তাঁদের তিন দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছে। সোমবার তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:০২
Share:

(বাঁ দিকে) আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল (ডান দিকে)। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেল সিবিআই। সোমবার বেলার দিকে তাঁদের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বার করা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় শিয়ালদহের বিআর সিংহ হাসপাতালে। রবিবারও ওই হাসপাতালেই তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয়েছিল। তার পর শিয়ালদহ আদালতে তাঁদের হাজির করিয়েছিল সিবিআই।

Advertisement

আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিজিৎকে। মূল ঘটনার সময় তিনি টালা থানার ওসি ছিলেন। ওই থানার অধীনেই রয়েছে আরজি কর হাসপাতাল। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। রয়েছে কর্তব্যে গাফিলতি, টালবাহানার মতো গুরুতর অভিযোগও। সিবিআই আদালতে জানিয়েছে, আরজি কর-কাণ্ডে অভিজিতের ভূমিকা সন্দেহজনক। নেপথ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। তদন্তের অভিমুখ ঘুরিয়ে দিয়ে চেয়েছিলেন অভিজিৎ, আদালতে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পরেই তাঁকে তিন দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠানো হয়।

আরজি কর-কাণ্ডে প্রাক্তন ওসির পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দীপকেও। তাঁকে হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির মামলায় আগেই গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সন্দীপ ছিলেন জেল হেফাজতে। শনিবার ধর্ষণ-খুনের মামলায় তাঁকে আবার হেফাজতে পেয়েছে সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধেও কর্তব্যে গাফিলতি, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার মতো অভিযোগ রয়েছে।

Advertisement

আরজি করের ঘটনার পরেই অভিজিতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। দেরি করে এফআইআর দায়ের করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল মৃতের পরিবারও। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে অন্য থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অভিজিৎ। অভিযোগ, একাধিক হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কোথাও তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। হাসপাতালগুলির বক্তব্য ছিল, ভর্তি করানোর মতো শারীরিক পরিস্থিতি তৈরি হয়নি তাঁর। পরে অবশ্য অন্য একটি হাসপাতালে অভিজিৎকে ভর্তি করানো হয়। তার পর তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই।

সন্দীপের বিরুদ্ধেও প্রথম থেকে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। আরজি করের প্রতিবাদী জুনিয়র ডাক্তারেরা তাঁর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছিলেন শুরু থেকেই। তাঁদের অভিযোগ ছিল, সন্দীপ তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারেন। এর পর সন্দীপকে অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে আন্দোলনের চাপে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আরজি কর-কাণ্ডে দীর্ঘ দিন সিজিও কমপ্লেক্সে সন্দীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। পরে আর্থিক দুর্নীতিতেও তাঁর নাম জড়ায়। সেই মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পর ধর্ষণ-খুনের মামলাতেও গ্রেফতার হয়েছেন সন্দীপ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement