পাশে বিন, তবু জঞ্জাল পড়ে ফুটপাতেই। নিজস্ব চিত্র
নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর হলুদ রঙের ডাস্টবিন। মাঝেমধ্যে রয়েছে বড় ডাস্টবিনও। সল্টলেক পরিচ্ছন্ন রাখার এমন প্রচেষ্টা তবুও বৃথা। কারণ বেশির ভাগ আবর্জনাই পড়ছে ওই ডাস্টবিনের আশপাশে। অথবা তার কাছাকাছি ফুটপাতে এবং ফাঁকা জমিতে।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে সল্টলেকের বাসিন্দাদের সচেতনতা নিয়ে। বিধাননগর পুরসভার দাবি, বারবার বলেও কাজ হচ্ছে না। তবুও হাল না ছেড়ে সচেতনতার প্রচার চলবেই।
সিডি ব্লকের একটি রাস্তায় দেখা গেল, ডাস্টবিনে কোনও আবর্জনা নেই। অথচ ফুটপাতে পড়ে রয়েছে আবর্জনা। কমবেশি একই ছবি, এফডি ব্লক থেকে লাবণি আইল্যান্ড যাওয়ার রাস্তায়। ফুটপাতে আবর্জনা, প্লাস্টিক, বস্তায় জড়ো করা আবর্জনা পড়ে যত্রতত্র। এমনকি তা মুক্ত প্রস্রাবাগারে পরিণত হয়েছে। অথচ একাধিক ডাস্টবিন বসিয়ে গাছও লাগিয়েছে বিধাননগর পুরসভা।
শুধু দু’টি জায়গাই নয়, একাধিক রাস্তার এই ছবি। পুরকর্মীদের একাংশের কথায়, বাড়ি এবং রাস্তার ধার থেকে আবর্জনা তোলার পরেও অনেকে নিজের ইচ্ছেমতো সময়ে বাড়ির আবর্জনা প্যাকেটবন্দি করে রাস্তায় ফেলে দিয়ে যান। সে জন্য ডাস্টবিনও রাখা রয়েছে। তবুও একাংশের হুঁশ ফিরছে না।
পুরকর্মীদের অভিযোগ, কোথাও আবর্জনার স্তূপ দেখলেই প্রশাসনের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়। অথচ বারবার বলেও বাসিন্দা বা পথচারীদের যত্রতত্র আবর্জনা ফেলার প্রবণতা বন্ধ করা যায় না। এক বাসিন্দা নীলাঞ্জন রায়ের সাফাই, ‘‘বেশির ভাগ মানুষই সঠিক জায়গায় আবর্জনা ফেলেন। তবে একাংশের অসচেতনতায় নোংরা হয় পরিবেশ। প্রশাসনকে দোষ না দিয়ে আমাদের সজাগ হতে হবে।’’
সল্টলেকবাসী অসীম সামন্তের কথায়, নিজের শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে নিজেদেরই উদ্যোগী হতে হবে।
মেয়র পারিষদ (আবর্জনা অপসারণ) দেবাশিস জানা জানান, গোটা সল্টলেকে প্রায় দুই হাজার ডাস্টবিন রাস্তার ধারে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বড় ডাস্টবিনও রয়েছে। কিন্তু এখনও একাংশের হুঁশ ফিরছে না। তবুও শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে লাগাতার সচেতনতার প্রচার চালিয়ে যাওয়া হবে। পাশাপাশি পরিকাঠামোর উন্নতি করা হচ্ছে।