ফাইল চিত্র।
সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে করোনা হাসপাতালে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত সপ্তাহখানেক আগে জানিয়েছিল স্বাস্থ্য ভবন। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকদের পঠনপাঠনে যুক্ত হাসপাতালের অন্য পরিষেবার কী হবে, তার উত্তর না মেলায় শুরু হয় অচলাবস্থা। শনিবার দু’দফায় বৈঠকের পরে আগামী শুক্রবার থেকে কোভিড পরিষেবা চালু হতে পারে বলে জানান হাসপাতালের সুপার পলাশ দাস। যদিও জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, সমস্যা একেবারেই মেটেনি।
৫ জুন সাগর দত্ত কোভিড হাসপাতাল হচ্ছে বলে জানায় স্বাস্থ্য ভবন। গত বুধবার সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি জানাতে জুনিয়র চিকিৎসকেরা অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁরা জানান, কোভিড হাসপাতালে আপত্তি নেই। কিন্তু অন্য পরিষেবা বন্ধ হলে রোগী থেকে চিকিৎসক-পড়ুয়া, সকলে সমস্যায় পড়বেন। তাই বহির্বিভাগ-সহ হাসপাতালের অন্য বিভাগের পরিষেবা সচল রাখতে হবে।
শুক্রবারও দাবি না মেটায় কর্তৃপক্ষকে ঘেরাওয়ের পথে হাঁটেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। ওই দিনই সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষা হাসি দাশগুপ্তের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। যেখানে ৫০ শয্যার কোভিড হাসপাতাল চালু্র কথা হয়েছে।
এ দিন আইএমএ-র রাজ্য সম্পাদক শান্তনু সেন হাসপাতালের অন্য পরিষেবা চালুর আশ্বাস দিলে জট খোলার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তিনি জানান, চিকিৎসক-পড়ুয়ারা ক্লিনিক্যাল অভিজ্ঞতার ঘাটতি হচ্ছে মনে করলে কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালে গিয়েও কাজ করতে পারবেন। বিকেলে স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে সকালের আশ্বাসের বাস্তবায়ন নিয়ে জানতে চান জুনিয়র চিকিৎসকেরা। সেখানে স্ত্রী-রোগ ও শিশু রোগের চিকিৎসা পরিষেবা চালুর কথা বলা হলেও তা তাঁদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। তাঁদের দাবি, স্ত্রী এবং শিশু রোগ-সহ অন্যান্য বহির্বিভাগ চালু সংক্রান্ত দাবি মানা হয়নি। ফলে অচলাবস্থা কেটেছে এমন আশ্বাস কর্তৃপক্ষও দিতে পারেননি।