চাকরি চেয়ে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
সরকারি হাসপাতালে নার্স নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হল স্বাস্থ্য ভবনের কাছেই। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ালেন বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের নার্সরা। কয়েকজন আন্দোলনকারীকে পুলিশ গাড়িতে তুললে বিক্ষোভের আঁচ আরও বেড়ে যায়। সোমবার দুপুরে এ নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের কাছে।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, তাঁরা করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন হাসপাতালে কাজ করেছেন। সরকারি হাসপাতালে নিয়োগে তাঁদের অগ্রাধিকারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত ২০ মে নতুন যে প্যানেল প্রকাশ হয়েছে, তাতে ২০১৮, ’১৯ কিংবা ’২০ সালের কারও নাম নেই। সবাই ২০২১ সালে নার্সিং ডিগ্রি পাওয়া চাকরিপ্রার্থী। এখানেই শেষ নয়। তাঁদের আরও অভিযোগ, রেজিস্ট্রেশন নেই, অথচ প্যানেলে নাম আছে, এমন চাকরিপ্রার্থীও আছেন। তা ছাড়াও, অসংরক্ষিত আসনেও সংরক্ষিত চাকরি প্রার্থীদের জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের অদূরে বিক্ষোভ শুরু করেন কয়েকশো নার্স।
বিক্ষোভ প্রশমন করতে পুলিশ নামলে শুরু হয় উত্তেজনা। ‘হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড’ অফিস থেকে একটি গাড়ি বেরিয়ে এলে তার সামনে পথ আগলে দাঁড়ান কয়েক জন বিক্ষোভকারী। রাস্তাতেই বসে পড়েন কেউ কেউ। পুলিশ সরাতে গেলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। কয়েক জন আন্দোলনকারীকে পুলিশ ভ্যানে তোলা হলে অন্যরা তাদের প্রায় ছিনিয়ে আনে। কার্যত তুলকালাম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন বলেও খবর।
পরে চার জন প্রতিনিধি সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে যান। প্রায় ঘণ্টা খানেক বৈঠকের পরও কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি বলে জানিয়েছেন তন্দ্রা চক্রবর্তী নামে এক আন্দোলনকারী। পাল্টা তাঁরা জানিয়ে দেন, বিক্ষোভ চলবে।