IAS

IAS: ‘আমি এখন আইএএস অফিসার’, মেয়ের ফোন পেয়ে স্টিয়ারিংয়ে হাত রেখে কেঁদে ফেললেন বাসচালক বাবা

ইচ্ছাশক্তির কাছে কোনও বাধাই বাধা না। প্রতিকূলতা পেরিয়ে সাফল্যের এই গল্পের নায়িকার নাম প্রীতি হুডা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২২ ১৫:০৬
Share:
০১ ১৬

অভাব নিত্যদিনের সঙ্গী। টানাটানির সংসারে বাসচালক বাবা ভাবতেন, কী ভাবে সারা মাসের সংসারের খরচ জোগাবেন। মেয়েকে পড়ানোর ইচ্ছে ছিল। কিন্তু সঙ্গতি যে সঙ্গ দেয় না।

প্রতীকী চিত্র।

০২ ১৬

বাবা-মা ভেবেছিলেন মেয়ের স্কুলের পাঠ চুকলেই বিয়েটা দিয়ে দেবেন। কিন্তু প্রীতি হুডার পরিকল্পনা ছিল অন্য। সঙ্কল্প করেছিলেন, বড় তাঁকে হতেই হবে।

ছবি: টুইটার।

Advertisement
০৩ ১৬

স্কুলবেলা থেকেই আইএএস অফিসার হওয়ার ইচ্ছা। কিন্তু বাবা যে ভাবছেন বারো ক্লাসটা শেষ হলেই বিয়ে দিয়ে দেবেন! স্বপ্নের কী হবে?

প্রতীকী চিত্র।

০৪ ১৬

শুধু স্বপ্ন দেখে ক্ষান্ত হওয়ার পাত্রী অবশ্য ছিলেন না প্রীতি। কী ভাবে তাকে সত্যি করবেন, তার পথ খুঁজে বের করেন নিজেই। যে মেয়ের স্কুলের পাঠ চুকলেই একেবারে পড়াশোনা বন্ধ হত, তিনিই পিএইচডি শেষ করেছিলেন। আজ তিনি আইএএস অফিসার প্রীতি হুডা।

ছবি: সংগৃহীত

০৫ ১৬

এখন তিনি আইএএস অফিসার। কেমন ছিল বাসচালক বাবার একমাত্র মেয়ের সেই উড়ানের কাহিনি?

প্রতীকী চিত্র।

০৬ ১৬

ছোট থেকে পড়াশোনা করতে ভাল লাগত প্রীতির। পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতা সত্ত্বেও দশম শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষায় ৭৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন।

ছবি: সংগৃহীত।

০৭ ১৬

বাড়িতে যখন তাঁর বিয়ে দেওয়ার তোড়জোড় চলছে, প্রীতি স্থির করেন নিজের পায়ে না দাঁড়িয়ে সংসার তিনি কিছুতেই করবেন না। বাবা-মাকে সে কথা বলার সাহস অবশ্য ছিল না। নিয়েছিলেন অন্য পথ।

ফাইল চিত্র।

০৮ ১৬

দ্বাদশের ফল ভাল হলে বাবা নিশ্চয়ই খুশি হবেন। এই তাগিদ থেকে পড়াশোনার সময় বাড়ালেন প্রীতি। পরীক্ষার ফল বেরোল। দুরুদুরু বুকে রেজাল্ট দেখতে গেলেন স্কুলে। সব মিলিয়ে ৮৭ শতাংশ নম্বর। যাক, এ বার বাড়িতে বলা যাবে। এই ভেবে স্কুল থেকে বাড়ির দিকে পা বাড়ালেন।

প্রতীকী চিত্র।

০৯ ১৬

সত্যিই কাজ হল। মেয়ের কাণ্ডে বাড়ির সবাই খুশি। প্রীতি জানালেন, তিনি কলেজে যেতে চান। খরচ জোগাতে একটু কষ্ট হবে হয়তো। কিন্তু মেয়েকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে বললেন বাবাও।

প্রতীকী চিত্র।

১০ ১৬

দিল্লির লক্ষ্মীবাঈ কলেজে ভর্তি হলেন প্রীতি। বিষয় হিন্দি। স্নাতক পরীক্ষার ফল হল দ্বাদশের চেয়েও ভাল।

ফাইল ছবি।

১১ ১৬

স্নাতকোত্তর শেষ করে স্বপ্নের আরও কাছাকাছি পৌঁছলেন প্রীতি। পছন্দের জেএনইউ-তে সুযোগ মিলেছে যে। পিএইচডি শেষ করলেন সেখান থেকেই।

ফাইল চিত্র।

১২ ১৬

প্রীতিদের আদি বাড়ি হরিয়ানার বাহাদুরগড়ে। বাবা দিল্লি ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (ডিটিসি)-এ কাজ করতেন। সেই সূত্রে তিনিও থাকতেন দিল্লিতে। জেএনইউ-তে গবেষণার পাশাপাশি চলত ইউপিএসসি-র প্রস্তুতি।

প্রতীকী চিত্র।

১৩ ১৬

প্রীতি ব্যর্থও হয়েছেন। প্রথম বার ইউপিএসসি পাশ করতে পারেননি। তবে হাল ছাড়েননি। বরং পরিশ্রমের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।

ফাইল চিত্র।

১৪ ১৬

সাফল্য এল দ্বিতীয় বারে। ২০১৭ সালের ইউপিএসসি-তে প্রীতির সর্বভারতীয় র‍্যাঙ্ক হল ২৮৮।

প্রতীকী চিত্র।

১৫ ১৬

মেয়ের পড়া বন্ধ করে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন বাবা। প্রীতির কথায়, ‘‘ইউপিএসসি-র রেজাল্ট দেখে বাবাকে ফোন করেছিলাম। বাবা তখন বাস চালাচ্ছেন। ফোনে বললাম, ‘বাবা, আমি এখন আইএএস অফিসার’। কিছু ক্ষণ চুপ। তার পর ফোনের ওপার থেকে কেঁদে ফেলেলেন বাবা।’’

ছবি: সংগৃহীত।

১৬ ১৬

আইএএস অফিসার প্রীতি হুডার কথায়, স্বপ্ন দেখলে থেমে থাকতে নেই। তাকে সত্যি করার জন্য লড়াই করতে হয়। জীবন যে একটাই।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement