প্রতীকী ছবি
শেষ মুহূর্তে খুলতে পারেননি সিট বেল্ট। তাই চলন্ত গাড়ি রাস্তার পাশের পুকুরে পড়ে গেলেও জলের নীচেই চালকের আসনে বসে মৃত্যু হল এক যুবকের।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার বিকেলে সোনারপুর থানা এলাকার ধামাইতালা বাইপাসে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত চালকের নাম শুভেন্দু হালদার (২৬)। তাঁর বাড়ি গড়িয়ায়। এ দিন এক আত্মীয় জিতেন হালদারের সঙ্গে গড়িয়া থেকে কুলতলির মৈপীঠে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে যায়। জিতেনবাবু গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু সিট বেল্ট বাঁধা থাকায় শুভেন্দু পুকুর থেকে উঠতে পারেননি। তদন্তকারীদের অনুমান, জলের মধ্যে শ্বাসরোধ হয়ে শুভেন্দুর মৃত্যু হয়েছে। রাতে গাড়িটি পুকুর থেকে তোলা হয়।
গাড়ির পিছনের আসনে ওষুধ ও চিকিৎসা-সরঞ্জাম ভর্তি ছিল। পুলিশের অনুমান, এর ফলে গাড়ির ওজন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। যার জেরে গাড়িটি ডান দিকে কাত হয়ে পুকুরে পড়ে যায়। গাড়িটি পুকুরে পড়ে যাওয়ার সময়ে জিতেনবাবু লাফিয়ে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন। কিন্তু জলে পড়ার পরে শুভেন্দু আর বেরিয়ে আসতে পারেননি।
এর একটি কারণ, তাঁর সিট বেল্ট বাঁধা ছিল। অন্য একটি কারণও ছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তা হল, পিছনের আসনের সব ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম তাঁর উপরে এসে পড়ে। সম্ভবত এই কারণে সিট বেল্ট খুলে বেরোতে পারেননি তিনি। ফলে শ্বাসরোধ হয়ে শুভেন্দুর মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান তদন্তকারীদের। গাড়ি থেকে শুভেন্দুকে উদ্ধারের সময়ে দেহটি ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামে চাপা পড়া ছিল।