লোভনীয়: শহরের এক রেস্তরাঁয় পুজো-আকর্ষণ। নিজস্ব চিত্র
পুজোর মাঝে সপ্তমীতে গান্ধী জয়ন্তী। ওই একটি ‘শুষ্ক দিবসে’ স্বাস্থ্যপানে ছেদ পড়বে। তবে হোটেল ও রেস্তরাঁ সমিতির কর্তা সুদেশ পোদ্দার আত্মবিশ্বাসী, সব মিলিয়ে ২০১৯-এর প্রাক্-অতিমারি যুগকেও ছাড়িয়ে যাবে পুজোর উন্মাদনা। একেবারে গঙ্গার কোলে বসে, দেদার পানাহারের জন্য ফ্লোটেলে ভরসা রাখতে পারেন। ২৪৯৯ টাকার সঙ্গে করযোগে এলাহি বুফের মধ্যে রকমারি পানীয়ের দাম ধরা। ভোজপাতে ঘুগনি, ঝালমুড়ির গৌরচন্দ্রিকা থেকে পোস্ত, ভর্তার মোচড়। লুচি, বিরিয়ানি, মাংস, মিষ্টির সম্ভার। দশমী পর্যন্ত মেনুতে নানা রদবদল। পানে আগ্রহী না-হলে এই বুফেয় ১০০০ টাকা সাশ্রয় হবে।
পিয়ারলেস ইনের আহেলির বুফে বাঙালিয়ানার স্বাদগন্ধে বৈচিত্রময়। কচি ডাবের জলের স্নিগ্ধতা থেকে শালপাতা মোড়া মুরগি, কিমার দইবড়া, ইলিশের চপ, ধূম্রগন্ধী ইলিশের আমেজ তাদের মেনুতে। বুফে ছাড়া ওহ্! ক্যালকাটার টেক্কা আবার ভেটকি মাছের পোলাও, আমাদা গন্ধী ভেটকি গ্রিল। পার্বণী বাঙালি খানার পাশে চটজলদি স্বাদু খাবারের জোগানও পুজোয় ঘোরাঘুরির বড় শর্ত। লেক মলে, শরৎ বসু রোডে নয়া কুইক সার্ভিস ব্র্যান্ড ‘মিক্সড’ (এমকিউএক্সটি) অবিশ্বাস্য সস্তায় মাছ, মুরগি, চিংড়ি ভাজার রকমারি হাতে-গরম পরিবেশন করবে।
মেনল্যান্ড চায়না বার্বিকিউড হংসমাংস, হট বেসিল লবস্টার, কালো মরিচ কাঁকড়ার শৌর্যে উজ্জ্বল। কাফে মেজ়ুনার ঢিমে আঁচে রান্না পর্ক, লবস্টার থার্মিডর মেনুর তারকা। পেট ও মনের তৃপ্তির জন্য হাতিবাগানের দিল্লিওয়ালা করিমসও বড় ভরসা। পার্ক স্ট্রিটে নতুন করে ফিরে আসা ট্রিঙ্কাসের মিঙ্গরুমও পুজোর বড় আকর্ষণ। সাবেক নামী রেস্তরাঁর সঙ্গে কফিশপও ভরসা আজকের কলকাতায়। বিজয়গড়ের কাফে কলকাতা-৩২এ মধ্যবিত্ত দামে পুজো স্পেশ্যাল আমের মুস, পেয়ারার লেমনেড থেকে বিশেষ সুগন্ধি লঙ্কার চিলি চিকেন। সল্টলেক, গোলপার্ক, বেহালার দ্য ট্রাইবে চিলি লাইম পর্ক, মেক্সিকান চিকেন র্যাপ, মাংসের কোফতা ও স্প্যাগেটিও উপাদেয়।
অউধ ১৫৯০ রান বিরিয়ানি বা মাটন গালাউটি কাবাবে জোর দিচ্ছে। কেয়াতলা রোডের চ্যাপ্টার টু এগ বেনেডিক্ট থেকে ল্যাম্ব গুলাশ, ল্যাম্ব পেপার স্টেকে মাত করছে। মণ্ডপে ঘুরতে ঘুরতে রোল, ঘুগনি থেকে দল বেঁধে খাওয়ার বাঙালি মেনু ছাড়া পুজো বিস্বাদ। সকালে হালকা দই-চিঁড়েয় ‘ডিটক্স’ করে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত পেটপুজোই পেটুকের মহাপুজো।