Residential garages are being replaced

আবাসনের গ্যারেজ আর পার্কিংয়ের জায়গায় চলছে দোকান-ব্যবসা, পুরসভায় অভিযোগ কাউন্সিলরদের

১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রত্না শূর পার্কিং স্পেস ও গ্যারেজে ব্যবসা করা ও দোকান তৈরির অভিযোগ করেন। তাঁকে সমর্থন করেন ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় ওঝা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:১৬
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আবাসনের গ্যারেজ ও পার্কিংয়ের জায়গা ব্যবহার করা হচ্ছে, দোকান বা ব্যবসাস্থল হিসেবে। শনিবার কলকাতা পুরসভার অধিবেশনে এমনটাই অভিযোগ করলেন ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা ১৩ নম্বর বোরো কমিটির চেয়ারম্যান রত্না শূর। আর তাঁর সেই অভিযোগকে সমর্থন জানালেন ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় ওঝা।

Advertisement

প্রস্তাবে রত্না বলেন, ‘‘কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ বিভিন্ন বহুতলের অনুমোদিত গ্যারেজ/পাকিং স্পেসের চরিত্র বদল করে তা দোকান/ ব্যবসাস্থল/ দারোয়ানের ঘর ইত্যাদি হিসাবে ব্যবহারের অনুমোদন দিচ্ছে। এক ফলে অনেক ক্ষেত্রে ফ্ল্যাটের ক্রেতা/ আবাসিকরা বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন এবং ক্রেতা সুরক্ষা আইন লঙ্ঘন হচ্ছে বলে মনে করছেন।’’ প্রস্তাবের আকারে তিনি আরও বলেন, ‘‘বহুতল আবাসনের গ্যারেজ/ পার্কিং স্পেসের চরিত্র বদল করে দোকান/ ব্যবসাস্থল/ দারোয়ানের ঘর ইত্যাদি হিসাবে ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বহুতলের আবাসিক/ ক্রেতাদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। সেই সঙ্গে যে সব ঠিকানায় গ্যারেজ/পার্কিং স্পেসের চরিত্র বদল করার অনুমতি দেওয়া হয়, তার তালিকা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদেরও দেওয়া হোক।’’

তৃণমূল কাউন্সিলরকে সমর্থন জানিয়ে বিরোধী পক্ষের বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় বলেন, ‘‘রত্নাদি এই অধিবেশনে যখনই বলেন, তখনই মনে হয় তিনি যেন বিরোধীদের সুরে কথা বলছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যে ভাবে একের পর এক বহুতলের নীচে পার্কিং ও গ্যারেজের জায়গাগুলিকে ব্যবসার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে আবাসিকদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কাউন্সিলরাও এই ধরনের বিষয়ে জানতে পারেন না। অথচ কোনও ঘটনা ঘটে গেলে তার দায় কাউন্সিলরকেই নিতে হয়।’’ আবার সেই সব জায়গায় পুরসভার তরফ থেকে বাণিজ্যিক লাইসেন্সও দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

এই সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত বলতে চাননি মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘‘এই ধরনের নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ পেলে আমাকে জানান। আমি ব্যবস্থা নেব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement