Rabindra Sarobar

রবীন্দ্র সরোবরে আমপানই খুলেছে ছটপুজোর পথ 

কেএমডিএ সূত্রের খবর, সরোবরের বরজ রোড সংলগ্ন দুই দিকেই গাছ পড়ে রেলিং ভেঙে তৈরি হয়েছিল বিরাট ফাঁক। গোবিন্দপুর রেললাইন বরাবর পাঁচিলের একটি অংশও ভেঙে গিয়েছিল।

Advertisement

কৌশিক ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২০ ০৩:২৩
Share:

আমপানের তাণ্ডবে ভেঙে গিয়েছে রবীন্দ্র সরোবরের এই পাঁচিল। নিজস্ব চিত্র

রবীন্দ্র সরোবরে ছট নিয়ে রাজ্য সরকারের আবেদনের শুনানি শীর্ষ আদালতে এক সপ্তাহ পিছিয়ে গিয়েছে। ছটপুজোর পরেই সেই শুনানি হবে। ফলে পরিবেশ আদালত ও কলকাতা হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা মেনে ছটপুজোর দিনে রবীন্দ্র সরোবরে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে পুলিশ ও প্রশাসনকে তৎপর থাকতে হবে। কিন্তু সরোবরের আশপাশে কোনও কোনও জায়গায় সারাই না হওয়া ভাঙা পাঁচিল রয়েছে। তাই ছটপুজোর দিন ওই সব ভাঙা জায়গা দিয়ে পুণ্যার্থীরা প্রবেশ করতে শুরু করলে নিষেধাজ্ঞা কত দূর মানা যাবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

Advertisement

নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও গত বছর পুণ্যার্থীরা দলে দলে ঢুকে পড়েছিলেন রবীন্দ্র সরোবরে।

পুলিশ তাঁদের ঠেকাতে পারেনি। গত বছর ছটপুজোর আগে সরোবর চত্বরে টালিগঞ্জের দিকের একটি ভাঙা অংশ প্রশাসন টিন দিয়ে ঘিরে দিয়েছিল। কিন্তু পুণ্যার্থীরা সেই টিন ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন। এ বার সেখানে ‘প্রবেশপথ’-এর সংখ্যা আরও বেড়েছে। সরোবরের দেখভালের দায়িত্বে থাকা কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, তাঁরা পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: প্রবেশপথ একাধিক, পুণ্যার্থীদের কি আটকানো যাবে সুভাষ সরোবরে

এ বার রবীন্দ্র সরোবরের ছট পুণ্যার্থীদের ঢোকার সুযোগ যে বেশি তা স্বীকার করেছেন কেএমডিএ-র আধিকারিকদের একটি অংশ। গত বছর শুধুমাত্র টালিগঞ্জের দিকের ওই একটি অংশই খোলা ছিল। এই বছর আমপানের জেরে রবীন্দ্র সরোবরের অনেক জায়গায় গাছ পড়ে কোথাও পাঁচিল, কোথাও রেলিং ভেঙেছে। সেই সব ভাঙা জায়গা দিয়ে সরোবরে বহিরাগতেরা প্রবেশ করছিলেন বলে লকডাউনের সময়ে একাধিক বার অভিযোগ উঠেছিল। শুরুর দিকে আর্থিক সমস্যার কারণে সেই সব ভাঙা অংশ সারাইয়ের কাজে দেরি হয়েছে। তবে কেএমডিএ-র দাবি অনেক জায়গাতেই ভাঙা পাঁচিল সারাই করা গিয়েছে। দু’-তিনটি জায়গা এখনও অরক্ষিত।

কেএমডিএ সূত্রের খবর, সরোবরের বরজ রোড সংলগ্ন দুই দিকেই গাছ পড়ে রেলিং ভেঙে তৈরি হয়েছিল বিরাট ফাঁক। গোবিন্দপুর রেললাইন বরাবর পাঁচিলের একটি অংশও ভেঙে গিয়েছিল। টালিগঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন সরোবরের অংশটি আজও অরক্ষিত। সেখান দিয়েই অনায়াসে লোকজন সরোবরে যাতায়াত করেন। কর্তৃপক্ষ জানান, বরজ রোডের দিকটি মেরামত করা হলেও গোবিন্দপুরের দিকের অংশের এখনও মেরামতি হয়নি। তাই শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।কেএমডিএ-র সিইও অন্তরা আচার্য বলেন, “আমপানের পরে যে জায়গাগুলি ভেঙেছিল সেগুলির মেরামতির কাজ চলছে। প্রয়োজনে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে যা করণীয় তা-ই করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement