Rabindra Sarobar

খননের শতবর্ষে পলি সংস্কারের সিদ্ধান্ত রবীন্দ্র সরোবরে

১৯২০ সালে রবীন্দ্র সরোবরের মাটি কাটার কাজ শুরু হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২০ ০২:১৭
Share:

শীঘ্রই শুরু হচ্ছে রবীন্দ্র সরোবরের পলি তোলার কাজ।

রবীন্দ্র সরোবরের পলি পরিষ্কারের জন্য বহু দিন ধরেই সেখানকার উন্নয়ন কমিটি কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছিলেন। কিন্তু পলি তোলার সময়ে জলাশয়ের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, তার জন্য পরিবেশ আদালতের নির্দেশে পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত কমিটি

Advertisement

জানিয়েছিল কোনও রকম যন্ত্র ব্যবহার না করে পর্যায়ক্রমে জলাশয়ের ধার ঘেঁষে ধীরে ধীরে পলি তুলতে হবে। চলতি বর্ষার পরেই আগামী ডিসেম্বর মাসে সেই নিয়ম মেনেই জলাশয়ের নীচে জমে থাকা পলি তোলা হবে। এই প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যেই দরপত্র ডাকা হয়েছে বলে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানান। উল্লেখ্য ১৯২০ সালে রবীন্দ্র সরোবরের মাটি কাটার কাজ শুরু হয়েছিল।

কেএমডিএ সূত্রের খবর, সরোবর তৈরি হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত পলি মাটি তোলা হয়নি। ফলে, স্বাভাবিক ভাবেই বিভিন্ন কঠিন পদার্থ জলাশয়ের মধ্যে পড়ে আস্তরণ তৈরি হয়েছে। সেগুলি সরানোর জন্য বহু দিন ধরেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই পলি সরানো নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি হননি কর্তৃপক্ষ। এর পরেই ২০১৭ সালে পরিবেশ আদালতের নির্দেশে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে যে কমিটি তৈরি হয়েছিল তারাই জলাশয়ের স্বার্থে পলি তোলার সিদ্ধান্ত অনেক দিন আগেই নিয়েছিল। বর্ষার সময়ে এই ধরনের প্রকল্প শুরু করার ক্ষেত্রে অসুবিধা ছিল। এ ছাড়াও দরপত্র ডেকে এই কাজ শুরু করাও ছিল সময়সাপেক্ষ। সব নিয়ম মেনে কাজ শুরু করতে তাই দেরি হয়েছে।

Advertisement

রবীন্দ্র সরোবর এলাকার পরিবেশের উন্নয়নের জন্য যে বিশেষজ্ঞ কমিটি রয়েছে তার অন্যতম সদস্য পরিবেশ বিজ্ঞানী অনির্বাণ রায় জানান, প্লাস্টিক বা এই ধরনের অনেক পদার্থ জলাশয়ে পড়ে ধীরে ধীরে পলিস্তর বেড়েছে। এই ধরনের বিভিন্ন পদার্থ যত থাকবে, তত জলের মান এবং সমগ্র বাস্তুতন্ত্রের অবস্থা খারাপ হবে। সুতরাং সেগুলি তুলে পরিষ্কার করা প্রয়োজন। একসঙ্গে তুলতে গেলে জলাশয় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেই কারণে ড্রেজিং মেশিন ব্যবহার না করে ধীরে ধীরে পুরনো পদ্ধতিতেই পলিমাটি তুলে সরোবর পরিষ্কার রাখা দরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement