Kolkata

Kolkata: আতঙ্কের দেড় ঘণ্টা! কার্নিশে ঝুলে রোগী, হাসপাতালে উৎকণ্ঠায় বাকি রোগীর পরিজনরা

হাসপাতালের কার্নিশ থেকে পড়ে গেলেন রোগী। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টাতেও উদ্ধার করতে পারেনি দমকল। আতঙ্ক ছড়াল বাকি রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২২ ১৫:০৪
Share:

নিজস্ব চিত্র।

হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে আপনজন। ‘ঘরের মানুষ’টা কেমন আছে, তা দেখার জন্য ভিজিটিং আওয়ার্সে (হাসপাতালে রোগীকে দেখতে পরিজনদের জন্য যে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়) হাসপাতালে ভিড় করেন রোগীর আত্মীয়রা। সপ্তাহের বাকি দিনগুলোর মতো শনিবারও মল্লিকবাজারের বেসরকারি হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন রোগীর পরিজনরা। কিন্তু হাসপাতালে পা রাখতেই তাঁদের চোখ কপালে!

Advertisement

সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভিজিটিং আওয়ার্স ওই হাসপাতালে। আর ওই সময়ই হুলস্থুল কাণ্ড হাসপাতালে। এক রোগী হাসপাতালের আট তলার জানলা বেয়ে কার্নিশে বসে তখন পা দোলাচ্ছেন। আর তাঁকে উদ্ধার করতে প্রাণপাত চেষ্টা চালাচ্ছে দমকল বাহিনী। এই দৃশ্য দেখতে হাসপাতালের নীচে ভিড় জমিয়েছেন অসংখ্য মানুষ।

এই ঘটনার জেরে হাসপাতালের বাকি রোগীর পরিজনরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। নির্ধারিত সময়ে হাসপাতালের ফটকের সামনে ভিড়ও জমান তাঁরা। কিন্তু সেই সময় তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয় না। এর জেরে গেটের সামনে ঠেলাঠেলি হয়। ঘণ্টা দেড়েক পর যখন জনৈক রোগী কার্নিশ থেকে ঝুলতে গিয়ে হাত ফস্কে পড়ে যান, তখন আতঙ্কের মাত্রা আরও বাড়তে থাকে বাকি রোগীদের পরিজনের মধ্যে। ধাক্কাধাক্কির জেরে হাসপাতালের প্রধান ফটক সংলগ্ন অপেক্ষাকৃত কম ফটকের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Advertisement

শনিবারের বারবেলায় এমন উৎকণ্ঠার মধ্যে যে পড়তে হবে, তা ভাবতে পারেননি নদিয়ার শিল্পা সাহা। তাঁর দাদা মল্লিকবাজারের ওই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দাদাকে দেখতে এসে এ ঘটনা দেখে তিনিও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

পরে দুপুর দেড়টার পর রোগীদের পরিজনদের হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement