Crime

ধৃতকে নিয়ে জোড়া খুনের পুনর্নির্মাণ

পুলিশ সূত্রের খবর, খুনের পরে পেশায় দর্জি রমেশ লিলুয়া থানা এলাকায় একটি পোশাকের কারখানায় কাজ নিয়েছিল। ওই এলাকাতেই ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেছিল সে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২০ ০১:৫৯
Share:

উদ্ধার: খুনে ব্যবহৃত বাটাম ও কুড়ুল। রবিবার, রাজপুরে। নিজস্ব চিত্র

সোনারপুরে বাবা ও মেয়ের খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে নিয়ে রবিবার সকালে পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে খুনের অস্ত্র দু’টিও। ১১ জুলাই সোনারপুর থানা এলাকার সুভাষগ্রামে বাসুদেব গঙ্গোপাধ্যায় (৭২) ও তাঁর পালিতা কন্যা সুমিতা পণ্ডিতের (৩৫) ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সুমিতার স্বামী রমেশ পণ্ডিতকে বৃহস্পতিবার রাতে হাওড়ার লিলুয়া থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, খুনের পরে পেশায় দর্জি রমেশ লিলুয়া থানা এলাকায় একটি পোশাকের কারখানায় কাজ নিয়েছিল। ওই এলাকাতেই ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেছিল সে। সোনারপুর থানা সূত্রের খবর, স্ত্রী ও শ্বশুরকে প্রথমে বাটাম দিয়ে পিটিয়েছিল সে। পরে একটি কুড়ুল দিয়ে দু’জনকে কোপায় সে। ঘটনার পরে নিজের রক্তমাখা জামাকাপড় শৌচালয়ে ছেড়ে রেখে কাঠের বাটাম ও কুড়ুলটি রাজপুর এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ফেলে পালিয়ে গিয়েছিল রমেশ। এ দিন সকালে ওই পরিত্যক্ত বাড়িতে রমেশকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কাঠের বাটাম ও কুড়ুলটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সোনারপুর থানার তদন্তকারী অফিসারেরা। একটি প্লাস্টিক ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছে সুমিতার মোবাইল ফোনটিও। রমেশ এখন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement