Casteism

জাত তুলে কটাক্ষ! রবীন্দ্রভারতীতে পর পর ইস্তফা অধ্যাপকদের, সঙ্কট সামলাতে আসরে পার্থ

এই ঘটনায় সরাসরি অভিযোগের আঙুল টিএমসিপি-র দিকে উঠলেও, তারা তা অস্বীকার করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৯ ১৪:৩৪
Share:

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের উদ্দেশে জাতপাত তুলে কটাক্ষের অভিযোগ। —ফাইল চিত্র।

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের উদ্দেশে বেশ কিছু দিন ধরেই জাতপাত তুলে কটাক্ষের অভিযোগ উঠছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-এর বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের চার বিভাগীয় প্রধান তাঁদের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন উপাচার্যের কাছে। আরও কয়েক জন অধ্যাপক এবং শিক্ষক পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

এই ঘটনায় সরাসরি অভিযোগের আঙুল টিএমসিপি-র দিকে উঠলেও, তারা তা অস্বীকার করেছে। কয়েক জন অশিক্ষককর্মীর বিরুদ্ধেও দুর্ব্যবহারের অভিযোগে সরব হয়েছেন অধ্যাপকরা। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরীর নির্দেশে প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে।

পরিস্থিতি বুঝতে পেরে আসরে নামেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিটি রোড ক্যাম্পাসে পৌঁছন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী ঘনিষ্ঠ মহলে এ নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, অধ্যাপক এবং শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকের পর পার্থবাবু বলেন, ‘‘যে ধরনের অভিযোগ সংবাদমাধ্যমে দেখলাম, তা আমাদের ঐতিহ্যের মোটেই শ্রীবৃদ্ধি ঘটায় না। ওঁদের বিষয়গুলো শুনেছি। ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন উপাচার্য। সেই তদন্তে যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয়, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ ছাড় পাবে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যাঁরা ইস্তফা দিয়েছেন তাঁদের অনুরোধ করেছি, পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ার। যাঁরা ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন, তাঁদেরও অনুরোধ করেছি।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘যাঁরা দল ছাড়ার তাড়াতাড়ি ছাড়ুন, চোরেদের আমি দলে রাখব না’, দলীয় কাউন্সিলরদের বার্তা মমতার​

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ভূগোল বিভাগের এক শিক্ষিকাকে জাতপাত তুলে কটাক্ষ করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কয়েকজন সদস্য। কয়েক জন অধ্যাপককে গায়ের রং নিয়েও অপত্তিকর মন্তব্য করা হয়। এরই প্রতিবাদে অর্থনীতি, রাষ্ট্র বিজ্ঞান, এডুকেশন এবং সংস্কৃত বিভাগের প্রধানরা পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন উপাচার্যের কাছে। দু’জন ডিরেক্টরও পদত্যাগ করতে চেয়েছেন।

আরও পড়ুন: লিচুর বিষ, অপুষ্টি নাকি তাপপ্রবাহ, বিহারে শিশুমৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দ চরমে​

আদৌ এই ঘটনার সত্যতা রয়েছে কি না, তা নিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অধ্যাপকদের দাবি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাঁরা এমন আপত্তিকর মন্তব্য করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement