শান্তনুর অস্ত্রোপচার হয় এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে। নিজস্ব চিত্র।
যুবকের হৃৎপিণ্ডে বিরল সমস্যা। জটিল অস্ত্রোপচার বলে ফিরিয়ে দিয়েছে একাধিক হাসপাতাল। কিন্তু সেই জটিল অস্ত্রোপচার করেই ওই যুবককে নতুন জীবন দিলেন কলকাতার অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।
হাওড়ার বাসিন্দা বছর পঁয়ত্রিশের শান্তনুর উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। এই বয়সে এমনটা হওয়ার কথা নয়। পরীক্ষা করাতে দেখা যায়, শান্তনুর হৃদ্যন্ত্রে তিনটির বদলে রয়েছে দু’টি লিফলেট ভালভ। এ ছাড়াও পরীক্ষায় ধরা পড়ে শান্তনুর হৃদ্যন্ত্রে রয়েছে আরও একাধিক জন্মগত ত্রুটি। প্রয়োজন অস্ত্রোপচারের। কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে, একাধিক হাসপাতাল থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয় শান্তনুকে। শেষ পর্যন্ত তিনি যান বাইপাসের ধারের ওই বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসক বিকাশ মজুমদার, আফতাব খান, তমাশিস মুখোপাধ্যায় ও যমন কলিতা করেন জটিল অস্ত্রোপচারটি। তা সফল হয়। নতুন জীবন পেয়ে যান হাওড়ার শান্তনু।
চিকিৎসক বিকাশ মজুমদার পরে বলেন, ‘‘এই জন্মগত ত্রুটি এতটাই বিরল যে ১০ হাজার শিশুর জন্ম হলে ৪ জনের মধ্যে এমনটা দেখা যায়। যত লোকের হৃৎপিণ্ডে জন্মগত ত্রুটি থাকে, তাঁদের মধ্যে মাত্র ৬ শতাংশের মধ্যে এই ত্রুটি দেখা যায়।’’
শান্তনুর অস্ত্রোপচার হয় এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে। তার পর থেকে তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গিয়েছেন। চিকিৎসকেরা জানান, সঠিক সময় চিকিৎসা শুরু না হলে এবং অস্ত্রোপচার না হলে শান্তনুর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত।