প্রতীকী ছবি।
ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে কিশোরীকে খুনের হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করা হল। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইন দায়ের করে মামলা শুরু করা হয়েছে। ধৃতের নাম বাবলু ঢালি। সে পেশায় গাড়িচালক। মাসের পর মাস ধরে অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে সে ধর্ষণ করায় কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়েছে বলে পরিজনেদের অভিযোগ।
অভিযুক্তকে গণধোলাইয়ের পরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ধৃত বাবলুর একটি মেয়ে আছে বলে জানা গিয়েছে। সে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। নিজের মেয়েকে পড়ানোর নাম করে অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে প্রায়ই বাড়িতে ডেকে নিয়ে যেত বলে দাবি কিশোরীর পরিবারের। অভিযোগ, সেখানেই ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বাবলু। নির্যাতিতাকে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছিল, বাইরে কাউকে বিষয়টি জানালে তার ছোট বোনকে খুন করা হবে। নির্যাতিতা সেই ভয়ে বাড়িতে কিছু বলতে পারেনি। এ ভাবেই চলতে থাকে মাসের পর মাস। কখনও অঙ্ক শেখানো, কখনও বা আঁকা শেখানোর অছিলায় কিশোরীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিত বাবলু। আর চলত ধর্ষণ।
শনিবার ছাত্রীর অস্বাভাবিক শারীরিক গঠন নজরে আসে বাড়ির লোকের। তখনই সন্দেহ হয়। মেয়েকে চেপে ধরতেই নির্যাতিতা সব কথা বলে তার মাকে। এও জানায়, এ কথা কাউকে বললে কিশোরীর ছোট বোনকে খুন করা হবে বলেছিল বাবলু। ওই দিনই বিদ্যুতের স্তম্ভে বেঁধে বাবলুকে এলাকাবাসীরা বেধড়ক মারধর করে। খবর যায় বারুইপুর থানায়। পুলিশ বাবলুকে উদ্ধার করে। পরে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নির্যাতিতার পরিবার শনিবার রাতে বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর উপরে শারীরিক অত্যাচার চালানোয় অভিযুক্ত বাবলুকে পকসো আইনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।