প্রতীকী ছবি।
শহরে কোনও অপরাধ বা দুর্ঘটনাস্থলে নমুনা সংগ্রহের কাজ করে থাকে লালবাজারের ফরেন্সিক ইউনিট। কিন্তু একই দিনে বা স্বল্প সময়ের ব্যবধানে একাধিক জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা অনেক সময়েই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে ওই দলটির পক্ষে। নমুনা সংগ্রহের কাজ দ্রুত করতে তাই কলকাতা পুলিশের প্রতিটি ডিভিশনে পৃথক ফরেন্সিক দল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার। কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্রের নির্দেশে বাহিনীর ন’টি ডিভিশনের জন্য দু’জন করে মোট ১৮ জন পুলিশ অফিসারকে ওই ডিভিশনাল ইউনিটের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, দু’সপ্তাহ আগে ওই ১৮ জন অফিসারকে নমুনা সংগ্রহের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে তাঁদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন লালবাজারের অভিজ্ঞ আধিকারিকেরা এবং এক প্রাক্তন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ। এক মাস ধরে ওই প্রশিক্ষণ চলার পরেই ডিভিশনের ডিউটিতে পাঠানো হবে তাঁদের। এক পুলিশ কর্তা বলছেন, ‘‘তদন্তের স্বার্থে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নমুনা সংগ্রহ করা প্রয়োজন। কিন্তু দেখা গিয়েছে, একই সময়ে একাধিক ঘটনাস্থলে যেতে হবে ফরেন্সিক দলটিকে। তাই কমিশনার প্রতি ডিভিশনে পৃথক ফরেন্সিক দল তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছেন।’’
লালবাজার সূত্রের খবর, ন’টি ডিভিশনের প্রতিটির ফরেন্সিক দলে দু’জন করে পুলিশ অফিসার থাকবেন। বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, এমন অফিসারদেরই সদস্য হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। ডিভিশনের কোনও এলাকায় অপরাধ, দুর্ঘটনা ঘটলে সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করাই হবে তাঁদের কাজ। সেই নমুনা যাতে নষ্ট না হয়, তার জন্য ঘটনাস্থল ঘিরেও রাখবেন তাঁরা। প্রয়োজনে তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী অফিসারকেও পরামর্শ দেবেন তাঁরা।
লালবাজার সূত্রের খবর, কোনও জায়গায় নমুনা সংগ্রহে ডিভিশনের ফরেন্সিক দল যাওয়ার পরে প্রয়োজনে লালবাজারের ফরেন্সিক দল সেখানে গিয়ে বাকি কাজ সারবে। তবে প্রাথমিক কাজ করবে ডিভিশনাল ফরেন্সিক দলই। প্রশিক্ষণ শেষে পুজোর আগেই প্রতিটি ডিভিশন নিজেদের ফরেন্সিক দল হাতে পেয়ে যাবে বলে লালবাজার সূত্রে দাবি।