—প্রতীকী ছবি
চাকরির দাবিতে নবান্ন ও নব মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছিল অল বেঙ্গল ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। সেই মতো বৃহস্পতিবার সকালে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে মিছিল শুরু করেন সংগঠনের সদস্যেরা। পুলিশ অবশ্য তাঁদের বেশি দূর এগোতে দেয়নি। পরে ধর্মতলায় গাঁধী মূর্তির কাছে একটি লেনে মিছিলে আসা লোকজনেরা অবস্থান করেন। সেখানে যোগ দেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার, জগন্নাথ সরকার, কনিষ্ক পণ্ডা, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ছাত্র পরিষদের সভাপতি সৌরভ প্রসাদ, প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রোহন মিত্র প্রমুখ।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গৌরীশঙ্কর করণ জানান, যুবশ্রী প্রকল্পের আওতাভুক্ত বেকার যুবক-যুবতীদের উৎসাহ ভাতা দেওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পালন করা হয়নি। অথচ শাসক দলের এক সাংসদ দাবি করেছেন, চাকরি দেওয়া হয়েছে। তারই প্রতিবাদে এবং চাকরির দাবিতে এ দিন নবান্ন ও নব মহাকরণ অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে দেখা করতে চেয়ে আবেদনও করা হয়েছিল।
কিন্তু কোনও লাভ হয়নি বলে গৌরীশঙ্করবাবু দাবি করেন।
ওই অবস্থানে যোগ দিয়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা জানান, তাঁরা আন্দোলনের পাশে রয়েছেন। তাঁরা রাজ্য সরকারের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কথা সব জায়গায় তুলে ধরবেন। এ দিন ওই অবস্থানে প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রের পুত্র রোহন মিত্র এবং বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ কনিষ্ক পণ্ডার উপস্থিতি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।