রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও অমিতাভ চক্রবর্তী ফাইল চিত্র।
রাজ্য বিজেপি দফতরে জোড়া চিঠি পাঠালেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বিজেপি-র সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীকে মুখবন্ধ খামে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। ডোমজুড়ের বিজেপি প্রার্থী আর একটি খোলা চিঠিতে এলাকার ‘ঘরছাড়া’ কর্মীদের তালিকা পাঠিয়েছেন। এক কর্মীর হাত দিয়েই দুটি চিঠি পাঠান তিনি। তবে, ঘরছাড়া’দের ওই তালিকা রাজীব নিজে তৈরি করেননি বলেই জানা যাচ্ছে। তাঁর কাছে আসা ওই তালিকা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। আগামী ২৯ জুন রাজ্য বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকে থাকার জন্য রাজীবকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে।
ভোটে ভরাডুবির পর বিজেপিতে ‘বেসুরো’দের তালিকায় রয়েছেন রাজীবও। মুকুল রায় দল ছাড়ার পরের দিনই বিজেপি-র উৎকণ্ঠা বাড়িয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। যদিও বৈঠক শেষে কুণাল ও রাজীব দু’জনেই বলেন, সৌজন্য সাক্ষাৎ, কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মায়ের মৃত্যুর পর তাঁর সঙ্গেও দেখা করেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী।
ভোটের পর থেকেই রাজীবকে নিয়ে বিজেপি-র অন্দরে বিস্তর প্রশ্ন উঠছে। নেটমাধ্যমে তাঁর একটি পোস্টকে ঘিরেই দলবদলের জল্পনা শুরু হয়। ফেসবুক পোস্টে রাজীব লিখেছিলেন, ‘‘এই বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আসা একটা সরকারের এক মাস হয়েছে। সেখানে যদি কেউ রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে চায় বা গোঁড়া সাম্প্রদায়িকতা দেখাতে চায় বা যদি সত্যিকারের ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করতে চায়, তবে আমি সেই দলে থেকেও বিরোধিতা করব। আগামী দিনেও বিরোধী থাকব।’’