মুখ্য়মন্ত্রী রাজবংশী নেতার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন বলে খবর। ফাইল ছবি।
বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর পরই অনন্ত মহারাজের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। এ বার সেই জল্পনা আরও বাড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানালেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন বা জিসিপিএ নেতা অনন্ত মহারাজ। আগামী ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি কোচ রাজবংশীয় সেনাপতি চিলা রায়ের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাজবংশী নেতা। সূত্রের খবর, আমন্ত্রণ গ্রহণও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজবংশী ভোটব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গে অন্যতম ব্যক্তিত্ব অনন্ত মহারাজ। উত্তরবঙ্গের ৫৪টি বিধানসভা আসনের প্রায় ৩০ শতাংশ ভোটারই রাজবংশী সম্প্রদায়ের। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে রাজবংশী ভোট নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপি-র দড়ি টানাটানি ছিল। সে সময় বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন রাজবংশী নেতা। তার আগেই অবশ্য অসমে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন অনন্ত মহারাজ। কিন্তু ভোটের ফলপ্রকাশের পর বিজেপি-র সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁক। জল্পনা তৈরি হয় তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন তিনি।
বাংলায় সামগ্রিক ভাবে বিধানসভা ভোটে বিজেপি-র ভরাডুবি হলেও উত্তরবঙ্গে তুলনামূলক ভাল ফল করে তারা। অন্য দিকে বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করে তৃতীয় বার রাজ্যের তখতে বসলেও উত্তরবঙ্গের ফলাফল বেশ হতাশই করে তৃণমূলকে। শুধু কোচবিহারের ন’টি বিধানসভা আসনেরই মাত্র দু’টি-তে জয় পায় তৃণমূল। এর পরই উত্তরবঙ্গে বিশেষ নজর দিতে দেখা গিয়েছে শাসকদলকে।
এর আগে অনন্ত মহারাজের সঙ্গে দেখা করেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা উত্তরবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূল নেতা গৌতম দেব। আবার সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়াকে নিয়ে পুজো দিতেই দেখা গিয়েছিল মহারাজকে। এ বার মমতাকে তাঁর আমন্ত্রণের ঘটনাকে উত্তরবঙ্গ রাজনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।