COVID-19

কর্মীদের তহবিল থেকেই প্রতিষেধক দেওয়ার আর্জি রেলে

সারা দেশে রেলের ১২ লক্ষ কর্মীর মধ্যে প্রায় এক লক্ষ কর্মী করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২১ ০৬:২৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পরিষেবা সচল রাখতে রেলকর্মীদের অনেককেই মাঠে নেমে কাজ করতে হচ্ছে। কিন্তু, তাঁদের প্রতিষেধক প্রদানের ক্ষেত্রে মন্থর গতি নিয়ে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ।

Advertisement

বয়স যাঁদের ৪৫ বছর বা তার বেশি, তাঁদের প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হলেও ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিরা কবে প্রতিষেধক পাবেন, তা জানা নেই কারও। এমনই অভিযোগ রেলকর্মীদের সংগঠনের। পরিস্থিতি সামলাতে স্টাফ বেনিফিট ফান্ডে কেটে রাখা টাকা খরচ করেই কর্মীদের জরুরি ভিত্তিতে প্রতিষেধক দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এই মর্মে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে চিঠি দিয়েছেন ইস্টার্ন রেলওয়ে মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিতকুমার ঘোষ। সেখানে কর্মীদের বিশেষ তহবিল থেকে ১৫ কোটি টাকা খরচ করে জরুরি ভিত্তিতে প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

সারা দেশে রেলের ১২ লক্ষ কর্মীর মধ্যে প্রায় এক লক্ষ কর্মী করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে কমবেশি দু’হাজার জনের। পূর্ব রেলেও বহু কর্মী সংক্রমিত হয়েছেন বলে অভিযোগ। গোটা দেশে এ পর্যন্ত মোট কর্মীর মাত্র ৩০ শতাংশের কিছু বেশি প্রতিষেধকের আওতায় এসেছেন বলে খবর। তবে, তাঁদের মধ্যে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ এখনও শুরুই হয়নি বলে অভিযোগ কর্মী সংগঠনের।

Advertisement

এর মধ্যেই আবার অভিযোগ, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাম্প্রতিক নির্দেশিকায় করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রেলকর্মীদের আর প্রথম সারির কর্মী বলে গণ্য করা হয়নি। ওই নির্দেশ প্রকাশ্যে আসার পরে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে রেলের কর্মী সংগঠন। তাদের অভিযোগ, জরুরি প্রয়োজনে যাত্রিবাহী ট্রেন, মালগাড়ি বা অক্সিজেন এক্সপ্রেস সচল রাখার জন্য রেলকর্মীদের প্রতিনিয়তই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে ‘অল ইন্ডিয়া রেলওয়ে মেনস ফেডারেশন’-এর সাধারণ সম্পাদক শিবগোপাল মিশ্র ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সচিবকে চিঠি লিখেছেন। তাঁরা ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবিও তুলেছেন।

এর মধ্যেই স্টাফ বেনিফিট ফান্ডের ১৫ কোটি টাকা খরচ করে কর্মীদের প্রতিষেধক দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ইস্টার্ন রেলওয়ে মেনস ইউনিয়ন। অমিতবাবু বলেন, ‘‘কর্মীদের কল্যাণের জন্য তাঁদের বেতন থেকে কেটে রাখা টাকা তাঁদের প্রাণ বাঁচাতেই খরচ করা হোক।’’ রেল ওই দাবি বিবেচনা করছে বলে খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement