প্রতীকী ছবি।
করতে হবে বিচিত্র সব কসরৎ। নইলে সকলের সামনে গাইতে হবে অশ্লীল গান। এমন প্রস্তাবে কেউ রাজি হন, কেউ বেঁকে বসেন। ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর মতো এটাই নাকি নবীন পড়ুয়াদের বরণ করার পদ্ধতি। নির্দেশ মেনে ‘পারফর্ম’ করতে রাজি না-হলেই জোটে গালিগালাজ ও মারধর।
এ ভাবেই সল্টলেকের এক বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং চলে বলে অভিযোগ। সোমবার ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় অভিযোগ করেন প্রথম বর্ষের এক ছাত্র।
এর পাশাপাশি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও দর্শন বিভাগের এক ছাত্রকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ওই পড়ুয়া ১৬ অগস্ট অভিযোগ দায়ের করেন। ডিন অব স্টুডেন্টস রজত রায় জানান, অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। এ বার অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি তা খতিয়ে দেখবে।
দেশে র্যাগিং বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ইউজিসি। যাদবপুরের মতো বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অ্যান্টি র্যাগিং’ কমিটি গড়া হয়েছে। তার পরেও দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
পুলিশ জানায়, সল্টলেকের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই পড়ুয়ার অভিযোগ, এ দিন ক্লাসে কয়েক জন তাঁকে ঘিরে ধরেন। এর পরে তাঁকে মাথায় কাচের বোতল নিয়ে হাঁটতে বলা হয়। ওই ছাত্র মানতে চাননি। তার পরে তাঁকে অশ্লীল গান গাইতে বলা হয়। তা-ও মানতে না-চাইলে তাঁকে বেধড়ক মারা হয়। তবে অভিযুক্তদের ওই ছাত্র চেনেন না বলে দাবি করেছেন। যদিও ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয় বলে খবর।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য গৌতম রায়চৌধুরী ও উপাচার্য গৌতম সেনগুপ্তকে ফোন এবং এসএমএস করা হলেও জবাব মেলেনি।