র্যাগিংয়ের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার দ্বিতীয় বারের জন্য বিশেষ তথ্যানুসন্ধান কমিটি গড়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি-র্যাগিং কমিটি। বুধবার সেই কমিটি ডেকে পাঠাল অভিযোগকারী ছাত্রকে।
এ দিন ওই পড়ুয়া অভিভাবক-সহ কমিটির সামনে হাজির হন। ছাত্রটির মা জানান, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানোর আগে কেন ইউজিসি-র কাছে গিয়েছিলেন, তা নিয়ে কমিটির সদস্যেরা প্রশ্ন করেন। কেন কর্তৃপক্ষের আগের তদন্তে তিনি সন্তুষ্ট নন, সে নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। পাশাপাশি কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ছাত্রটি আবার হস্টেলে থাকতে শুরু করুক। কর্তৃপক্ষ তাঁর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু ছাত্রটির পরিবার তাতে রাজি হয়নি। কারণ, অভিযুক্ত পড়ুয়ারা এখনও হস্টেলেই রয়েছেন। নতুন কমিটির তদন্ত-রিপোর্ট এ দিনই ইউজিসি-র কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সহ উপাচার্য (শিক্ষা) দীপক করকে বারবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, দীপকবাবু তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রধান।
সম্প্রতি আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়া অভিযোগ করেছিলেন, ৭ ডিসেম্বর নিউ ল’কলেজ হস্টেলে তাঁকে র্যাগিং করেন উঁচু ক্লাসের পড়ুয়ারা। যৌন হেনস্থারও অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। পরে ওই ছাত্র তাঁর দাদাকে খবর পাঠালে ভোরবেলা পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। এর পরে ছাত্রটি ইউজিসি এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানান। পরে পুলিশেও অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাগিং-বিরোধী সেল তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করেছিল।
তদন্তের পরে উপাচার্য জানিয়েছিলেন, র্যাগিং-বিরোধী কমিটি তদন্তে দেখেছে, এ রকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি। এমনকী গত ৮ ডিসেম্বর থানাতেও ওই ছাত্র জানিয়েছিলেন, কারও বিরুদ্ধে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই। সেই তথ্যও তুলে ধরা হয়। যদিও পরে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ছাত্রটির পরিবার। কিন্তু ইউজিসি ওই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে ফের তদন্তের নির্দেশ দেয়। সূত্রের খবর, পড়ুয়ার মা তদন্ত-রিপোর্টে অসন্তোষ জানানোর পরেই ইউজিসি আবার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়কে। সেই মতো নতুন কমিটি গঠন করা হয়। পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও নিরপেক্ষ তদন্তের উপরে জোর দিয়েছিলেন।