প্রতীকী ছবি
মানসিক চাপ থেকেই আত্মঘাতী হয়েছে ছেলে। মঙ্গলবার মানিকতলা থানায় গিয়ে এই অভিযোগ করলেন মুরারিপুকুরের বাসিন্দা মৃত কলেজ ছাত্রের পরিজনেরা। তাঁদের দাবি, কলেজে নিয়মিত র্যাগিংয়ের শিকার হতেন সৌরভ মণ্ডল নামে ওই ছাত্র। সে জন্য মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। ঘটনার দিন সৌরভ উত্তেজিত ভাবে একটি ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ওই ফোনটি কোনও ভাবে সৌরভের উপরে মানসিক চাপ সৃষ্টি করেছিল বলে দাবি পরিবারের।
ওই ঘটনার তদন্ত করছে মানিকতলা থানার পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, ওই ছাত্র কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। তাঁর ঘর থেকে একটি কীটনাশকের কৌটোও মিলেছে। বুধবার তদন্তকারীরা জানালেন, ওই ছাত্রের পরিবারের বক্তব্য শোনা হয়েছে। কোন নম্বর থেকে ফোন এসেছিল এবং কেন সৌরভ উত্তেজিত হয়ে কথা বলছিলেন, তা জানার চেষ্টা চলছে। তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া কয়েকটি ডায়েরিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তদন্তে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন মায়ের কাছে বকুনি খেয়েছিলেন বিদ্যাসাগর কলেজের ভূগোলের ছাত্র সৌরভ। ছাত্রের বাবা সুশান্ত মণ্ডল বুধবার বলেন, ‘‘ছেলে কেন এমন করল বুঝতেই পারছি না। তবে ওকে কলেজে র্যাগিং করা হত। পুলিশকে সেই বিষয়টা জানিয়েছি।’’ পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, মানিকতলা থানায় গিয়ে মঙ্গলবার তদন্তকারীদের সঙ্গে কথা বলেন সৌরভের মামা গোপাল পোদ্দার। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘কলেজে সৌরভকে নানা ভাবে রাগানো হত। সে সব কিছুই আমরা পুলিশকে বলেছি।’’ সৌরভের বন্ধুরা জানাচ্ছেন, কলেজে এক বন্ধুর সঙ্গে ভাল সম্পর্ক ছিল তাঁর। তা নিয়ে অন্য বন্ধুরা তাঁকে রাগাতেন। সে সব নিয়েই হয়ত অবসাদে ছিলেন সৌরভ।