বিষ্ঠায় এ ভাবেই সাদা হয়ে গিয়েছে রবীন্দ্র সরোবরের দ্বীপ। নিজস্ব চিত্র
পাখির বিষ্ঠা থেকেই ক্ষতি হচ্ছে রবীন্দ্র সরোবরের কৃত্রিম দ্বীপের। প্রাথমিক ভাবে সরোবর কর্তৃপক্ষকে রাজ্য বন দফতর এমনটাই জানিয়েছে।
রবীন্দ্র সরোবরের দ্বীপগুলি ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু এবং ডুবন্ত হচ্ছে কেন, তা জানতে গত সপ্তাহেই বন দফতরের আধিকারিকেরা কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথ ভাবে সরোবরের প্রায় ডুবন্ত পাঁচটি দ্বীপ পরিদর্শন করেন। তার পরেই টনক নড়ে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের। বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি হতে পারে ভেবে ওই দ্বীপগুলিতে বহিরাগতদের ঢুকতে দেওয়া হয় না। যে কারণে গাছে ভরা দ্বীপগুলি ফাঁকা থাকায় পাখিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। তাদের বিষ্ঠায় বিপুল ক্ষতি হচ্ছে দ্বীপের গাছ এবং মাটির।
বন দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘কৃত্রিম দ্বীপের গাছগুলিতে প্রচুর পাখির সমাগম হয়। ওদের বিষ্ঠায় গাছগুলি প্রায় সাদা হয়ে থাকে। এমনিতেই দ্বীপের মাটির চরিত্র ভাল নয়। তার উপরে বিষ্ঠার অম্ল থেকে গাছের ক্ষতি হয়ে সে সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শিকড় যা মাটিকে শক্ত করে ধরে রাখে তা সরে যাওয়ায় দ্বীপগুলিও ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, দ্বীপগুলিতে নতুন করে গাছ
লাগানো হবে। অম্লজনিত রাসায়নিক প্রক্রিয়ার ফলে দ্বীপের মাটিতে যে সমস্যা হচ্ছে তা রুখতে বন দফতরের সহযোগিতা চেয়েছেন
কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ।এই সমস্যার কথা মানছেন রাজ্য বন দফতরের উপ মুখ্য বনপাল (আরবান ফরেস্ট্রি) রবীন্দ্রনাথ সাহা। তিনি বলেন, ‘‘এত পরিমাণ পাখির বিষ্ঠা থেকে অম্লজনিত কারণে গাছ এবং দ্বীপের মাটির ক্ষতি হয়। ফলে, দ্বীপ নষ্ট হতেই পারে।’’ তাঁর দাবি, নতুন দ্বীপ বা বন
তৈরি করলে এই সমস্যা অনেকটা কমানো যাবে। উদ্ভিদবিদ্যার শিক্ষক শমিত রায় বলেন, ‘‘দ্বীপের ক্ষয়িষ্ণুতার অন্যতম কারণ পাখির বিষ্ঠার অম্ল। তবে অন্য কারণও থাকতে পারে।’’ কেএমডিএ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই দ্বীপগুলি রক্ষা করতে শালবল্লা দিয়ে পাড় বাঁধানো হয়েছে।