রবীন্দ্র সরোবর চত্বরে এ ভাবেই ছড়িয়ে রয়েছে গাছের ডালপালা। নিজস্ব চিত্র
আমপানের পরে রবীন্দ্র সরোবরের ভেঙে পড়া পাঁচিল সরানোর ক্ষেত্রেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল অর্থাভাব। রবীন্দ্র সরোবর বা সুভাষ সরোবরের মতো এলাকায় ঝড়ে পড়া গাছের ডালপালা এখনও অর্থাভাবে পুরোপুরি সরানো হল না। অথচ কিছু দিনের মধ্যেই দু`টি সরোবর পুরো খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আপাতত বেশ কিছু ডালপালা বন্যাত্রাণ বা বিপর্যয় মোকাবিলায় দুর্গতদের সাহায্যার্থে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য বিলি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ডালপালা অপসারণের জন্য লরি নিয়ে এসে তা তুলে ফেলার জন্য দরপত্র করে অর্থ বরাদ্দ হলে তবেই তা সম্ভব। আপাতত সেই অর্থ বরাদ্দ করার ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। তবে দ্রুত যাতে অর্থ বরাদ্দ করা যায় তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনেক ধর্মীয় সংগঠন এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যারা বিভিন্ন সময়ে দুর্গতদের জন্য রান্না করে, তারা ফেলে দেওয়া গাছের ডালপালা জ্বালানি হিসেবে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিল। কর্তৃপক্ষ সেই আবেদন গ্রহণ করে ইতিমধ্যেই ঝড়ে পড়ে যাওয়া ডালপালার একাংশ দিয়েছে। তা সত্ত্বেও অনেক ডালপালা রয়েই গিয়েছে।
সরোবরের আধিকারিকেরা জানান, কিছু ডালপালা সরানো হলেও যে পরিমাণ ডালপালা পড়েছে তার সব নিলাম করে বিক্রি করা সম্ভব নয়। এ ছাড়াও রোজই কিছু না কিছু ডালপালা পড়ে। সকালের কয়েক ঘণ্টা প্রাতর্ভ্রমণকারীদের জন্য সরোবর খোলা রাখা ছাড়া বাকি সময়ে দু`টি সরোবর চত্বরই বন্ধ রাখা হয়। তা ছাড়া করোনা আবহে একসঙ্গে বেশি কর্মীদের দিয়ে কাজ করানোর ক্ষেত্রেও সমস্যা হয়েছে। আপাতত প্রাতর্ভ্রমণকারীদের সুবিধার জন্য সরোবর চত্বরের ভিতরের রাস্তা পরিষ্কার রাখতে তা ঝাঁট দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে বড় গাছের গুঁড়ি অথবা কিছু ডালপালা যেগুলি নিলাম করা যায়, সেগুলি সরকারি নিয়ম মেনে বন দফতরকে দিয়ে নিলাম করানো হবে।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, অন্য সময়ে চত্বরে পড়ে থাকা ডালপালা পরিষ্কার করে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখলে সেখান থেকে পুরসভা আগে নিয়ে যেত। কিন্তু আমপানে দুই সরোবরেই এত গাছ পড়েছিল যে অন্য দফতরের বাড়তি গাছ পরিষ্কার করতে কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ
নারাজ ছিল। তার পরেও লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন সরোবর বন্ধ থাকার ফলেও গাছের জঞ্জাল তৈরি হয়েছে। এই ক্ষেত্রে সরোবর চত্বর পরিষ্কার রাখতে কেএমডিএ-কেই এই কাজ করতে হবে বলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান।