উত্তর দমদমে এই ডালপালা কাটা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। —নিজস্ব চিত্র।
ক্রেন দিয়ে ছাঁটা হচ্ছে ডালপালা। দ্রুত সেই সব ডালপালা সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন পুরকর্মীরা। সম্প্রতি উত্তর দমদমের মাঝেরহাটি এলাকায় এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছে। স্থানীয়দের একাংশ জানাচ্ছেন, উত্তর দমদমে একাধিক শ্যামাপুজোকে ঘিরে জনসমাগম হয়। যার মধ্যে মাঝেরহাটি এলাকায় ‘চেয়ারম্যানের পুজো’ হিসেবে পরিচিত একটি পুজোকে কেন্দ্র করে এলাকায় এমন তৎপরতা চলছে বলে অভিযোগ। তবে পুরসভার দাবি, পুজোর সময়ে এই কাজ আগেও হয়েছে।
কালীপুজোর আগে এই ভাবে ডালপালা ছাঁটা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে। স্থানীয়দের একাংশের বক্তব্য, কোনও গাছের বড় ডালপালা কাটা হলে সেটি দুর্বল হয়ে পরে শুকিয়ে যেতে পারে। তাঁদের অভিযোগ, গাছ ছাঁটাইয়ের নামে আদতে বড় বড় ডালপালাই কাটা হচ্ছে। পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী জানান, গাছ রক্ষা করার জন্যে ছাঁটাই করা আবশ্যক বটে, তবে তা বিজ্ঞানসম্মত ভাবে করতে হবে। অনেক সময়ে পুজোয় বিজ্ঞাপনী প্রচারের জন্য সেই বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি মানা হয় না। ফলে গাছ দুর্বল হয়ে পরবর্তী সময়ে শুকিয়ে যায়। সে দিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ উত্তর দমদম পুর কর্তৃপক্ষ। এক পুরকর্তার দাবি, রাস্তার উপরে ডালপালা চলে আসায় বা তারের ভারে হেলে পড়া গাছকে ছাঁটার প্রয়োজন ছিল। উত্তর দমদমের পুর চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাসের কথায়, ‘‘অনেক ক্ষেত্রে ডালপালা বেড়ে গিয়ে হেলে যাচ্ছে গাছ, কখনও রাস্তার উপরে ঝুঁকে পড়ছে, তাতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। সেই পরিস্থিতি বুঝে প্রতি বছর এই সময়ে রাস্তার ধারের গাছের ডালপালা ছাঁটা হয়।’’