বাসের ভিতরে দেওয়ালে সেই কিউআর কোড সাঁটা থাকবে। —প্রতীকী চিত্র।
অ্যাপের মাধ্যমে নির্দিষ্ট রুটের কোনও বেসরকারি বাসের খবর জানতে কিউআর কোড চালু করতে চায় রাজ্য সরকার। স্ট্যান্ড থেকে ছাড়ার আগে সেই বেসরকারি বাসের কিউআর কোড স্ক্যান করতে হবে চালককে। বাসের ভিতরে দেওয়ালে সেই কিউআর কোড সাঁটা থাকবে। এক বার স্ক্যান করলেই সেই বাসের হদিস যাত্রীরা যেমন পেয়ে যাবেন, তেমনই ওই বাস রাস্তায় কী ভাবে এবং কতটা বিধি মেনে ছুটছে, তা-ও জানতে পারবেন পুলিশ ও পরিবহণ দফতরের আধিকারিকেরা।
প্রাথমিক ভাবে বিমানবন্দর-কেন্দ্রিক সরকারি ভলভো এবং বাতানুকূল বাসের রুটগুলিকে ‘যাত্রী সাথী’ অ্যাপের আওতায় আনার কথা জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসাবেই বিমানবন্দরমুখী রুটের পাশাপাশি আরও কয়েকটি রুটের বেসরকারি বাসকে ‘যাত্রী সাথী’ অ্যাপের আওতায় আনতে চাইছে রাজ্য সরকার।
পাইলট প্রকল্প হিসাবে সরকারি বাসের পাশাপাশি আপাতত ১২টি রুটের বেসরকারি বাসকেও অ্যাপের আওতায় আনতে চলেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার এ নিয়ে রাজ্য পরিবহণ দফতরের ময়দান তাঁবুতে একাধিক বেসরকারি বাসমালিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহন, আইজি (ট্র্যাফিক) সুকেশ জৈন এবং ‘যাত্রী সাথী’ অ্যাপের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকেরা। সেই বৈঠকে রাজ্যের বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ির ভিড় অনুযায়ী গতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও জানানো হয়। কোন রাস্তার কোথায়, কত দুর্ঘটনা ঘটছে, তা-ও সরকার পর্যায়ক্রমে নজরদারির আওতায় আনবে বলে জানানো হয়েছে।
এ দিনের বৈঠক প্রসঙ্গে ‘সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস’-এর সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, ‘‘আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।’’ ‘অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘‘পথ দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার প্রশ্নে আমরা একমত। এ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হওয়া জরুরি।’’
‘যাত্রী সাথী’ অ্যাপকে সরকার বহুমাত্রিক পরিষেবার অ্যাপ হিসাবে গড়ে তুলতে চাইছে। পরিবহণ দফতরের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এআইটিইউসি-র ট্যাক্সিচালক সংগঠনের নেতা নওলকিশোর শ্রীবাস্তব। তাঁর মতে, এই অ্যাপের ব্যবহার বাড়লে সার্বিক ভাবে পরিবহণ শিল্প লাভবান হবে।