মধুসূদন ব্যানার্জি রোড আমূল সংস্কারের দায়িত্বে রয়েছে রাজ্য পূর্ত দফতর। ফাইল ছবি।
বৃষ্টি হলেই রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ে।এ ছাড়া, বেহাল রাস্তায় দুর্ঘটনা তোঘটেই। রাস্তা মেরামত বলতে, মূলত তাতে তাপ্পি দেওয়া হয় বলেই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। ফলে সেই তাপ্পি বেশি দিন টেকে না। উত্তর দমদম পুরসভার জীবনরেখা, মধুসূদন ব্যানার্জি রোড বা এম বি রোডের এই হাল নিয়ে বাসিন্দাদের ক্ষোভ ছিল দীর্ঘ দিনের। অবশেষে সেই রাস্তার আমূল সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। পুরো কাজের দায়িত্বে রয়েছে রাজ্য পূর্ত দফতর।
এম বি রোডের হাল নিয়ে পর্যালোচনা করে কাজের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী ওই রাস্তার দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার, দু’ধারের নিকাশি নালার সংস্কার এবং ফুটপাত তৈরির কাজ চলছে। পুরসভা সূত্রের খবর, বিরাটি থেকে প্রায় সাড়ে সাত কিলোমিটার অংশে ওই কাজ হবে। তার মধ্যে উত্তর দমদমে পাঁচ কিলোমিটার এবং কামারহাটি পুর এলাকায় বাকি আড়াই কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সৌমেন বসুর কথায়, ‘‘বি টি রোড এবং যশোর রোডের সংযোগকারী মূল রাস্তা এইএম বি রোড। গাড়ি ও পথচারীদের চাপ বেশি। ফলে তাপ্পি আরজল জমার কারণে এই রাস্তা বিপজ্জনক চেহারা নেয়। রাস্তার দু’ধারের সর্বত্র ফুটপাতও ছিল না।’’ এক পুরকর্তাও জানাচ্ছেন, ওই রাস্তার সমস্যা দীর্ঘদিনের। সংস্কার হলেও ফের একই অবস্থা হত।কারণ বিশ্লেষণ করে রাস্তা, নর্দমা, ফুটপাত তৈরির প্রস্তাব রাজ্য প্রশাসনে পাঠানো হয়। ১৩ কোটি টাকা খরচ করে এই কাজ হবে।
পুরসভা সূত্রের খবর, ওই অঞ্চলের কালচার মোড়-সহ কিছু জায়গায় জল জমার প্রবণতা ছিল। তাই রাস্তা উঁচু করা হচ্ছে। রাস্তার দু’ধারের নিকাশি নালা সংস্কারের পাশাপাশি নতুন নিকাশি নালা তৈরি করা হচ্ছে। সেগুলি ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। ফুটপাত তৈরি করে রেলিং দিয়ে ঘেরা হচ্ছে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমবে বলে মনে করছেন পুর কর্তৃপক্ষ। যদিও এলাকার বাসিন্দাদের আশঙ্কা, দোকানের মালপত্র ফুটপাতে রাখার প্রবণতা থাকলে নতুন করে ফুটপাত তৈরি করেও দুর্ঘটনা রোখা যাবে না।
উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস জানাচ্ছেন, এই রাস্তার সংস্কার নিয়ে মানুষের বহু দিনের দাবি ছিল। স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের উদ্যোগে কাজ সম্ভব হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে,এই কাজ হওয়ার ফলে এলাকার এমন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় জল জমার সমস্যা দূর হবে।মানুষের যাতায়াতের সমস্যাও কমবে।