ক্যাথিড্রাল রোডে চলছে গাছ কাটার কাজ। সোমবার পূর্ত দফতরের কর্মীরাও হাত লাগিয়েছেন সেই কাজে। তবে রিজেন্ট এস্টেটের মতো এলাকায় এখনও পর্যন্ত এই কাজ শুরুই হয়নি বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র
আমপানের তাণ্ডবের পরে শহরকে স্বাভাবিক করতে আসরে নামল পূর্ত দফতরও। রবিবার থেকে পূর্ত দফতরের ২৩টি দলকে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুরসভা, কলকাতা পুলিশ এবং সিইএসসি-র সঙ্গে সমন্বয় রেখে গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছে পূর্ত দফতর।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, রবিবারই রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ পূর্ত দফতরকে এই কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার পরেই মোট ১৫০০ জন কর্মীকে ২৩টি দলে ভাগ করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এবং বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে কাজ শুরু করে দফতর। রবি ও সোমবার আলিপুর, নিউ আলিপুর, টালিগঞ্জ, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড, রাসবিহারী অ্যাভিনিউ, ময়দান, স্ট্র্যান্ড রোড, কলেজ স্ট্রিট, বিধান সরণি ও বিডন স্ট্রিটে কাজ করা হয়।
কলকাতা পুলিশ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি চিহ্নিত করে দেওয়ার পরে পূর্ত দফতর সেখানে পড়ে থাকা গাছগুলি কেটে ধাপায় পাঠায়। রাস্তা পরিষ্কার করার খবর সিইএসসি-কে জানানোর পরে তারা বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ করে। ধাপায় জঞ্জাল ফেলার গাড়ির লাইন বাড়তে থাকায় ময়দানের অস্থায়ী ‘ডাম্প ইয়ার্ড’-এ গাছের ধ্বংসাবশেষ ফেলা হচ্ছে।
দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, কাজের তত্ত্বাবধান করছেন ২৫ জন এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, ৭৫ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ও ১৫ জন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার। শহরের বড় বড় প্রকল্পগুলি যেখানে যেখানে চলছে, সেখান থেকে যন্ত্রপাতি ও ডাম্পার এনে গাছ কাটার কাজ করা হচ্ছে। স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে ময়দান এলাকা পর্যন্ত রাস্তা পরিষ্কার করার কাজ সোমবার রাতের মধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। ওই রাতে আলিপুর এবং প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডেও ভাঙা গাছ সরিয়ে ফেলেন পূর্তকর্মীরা। দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলির দায়িত্ব পূর্ত দফতরকে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুরসভাও অন্যান্য রাস্তায় কাজ করছে। সকলে একটা জায়গায় কাজ করে সময় নষ্ট না করে দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়া হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার নতুন কিছু রাস্তায় কাজের পরিকল্পনা করা হবে।’’
কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পূর্ত দফতরের সঙ্গে যৌথ ভাবে শহরের বিভিন্ন এলাকায় কাজ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।