বাম ছাত্র-যুবদের প্রতিবাদ মিছিল। —নিজস্ব চিত্র
আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় ‘মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে’ দলের নেতা-কর্মীদের। এই অভিযোগ তুলে লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছিল সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই এবং যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, শনিবার দুপুরে কলেজ স্ট্রিট থেকে শুরু হয় মিছিল। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই মিছিলে হাঁটেন বাম ছাত্র-যুবরা। তাঁদের বক্তব্য, গত ১৪ অগস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ সাত জন বাম নেতা-কর্মীকে নোটিস দিয়ে তলব করেছে লালবাজার। এই তলবের বিরুদ্ধে প্রতীকী গণহাজিরা দেওয়ার জন্যই এই মিছিল।
পুলিশ অবশ্য ব্যারিকেড করে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারের অনেকটা আগেই মিছিল আটকে দেয়। ব্যারিকেডের অন্য প্রান্ত থেকে স্লোগান দিতে থাকেন বাম ছাত্র-যুবরা। আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় দ্রুত অপরাধীর শাস্তি চাওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করা হয়। বাম ছাত্র-যুবদের সঙ্গে মিছিলে যোগ দেন সিপিএমের মহিলা সংগঠন গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির সদস্যেরাও।
—নিজস্ব চিত্র
যে সাত জন বাম নেতা-কর্মীকে কলকাতা পুলিশ তলব করেছিল, তাঁরা আইনজীবীদের সঙ্গে করেই নিয়ে গিয়েছিলেন। নিজেদের আইনজীবীকে নিয়ে লালবাজারে যান তাঁরা। মিনাক্ষী বলেন, “অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা রাজ্যের মানুষ ভাল ভাবে নিচ্ছেন না। গত ১৩ বছর ধরে বামপন্থীদের পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু ন্যায়বিচারের জন্য আমাদের লড়াই চলবে। বামপন্থীরা ভয় পায় না।”
চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে গত ১৪ অগস্ট ‘মেয়েদের রাত দখলে’র কর্মসূচির মধ্যেই মধ্যরাতে আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে তাণ্ডব চালান একদল ব্যক্তি। তছনছ করা হয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টার, এইচসিসিইউ (হাইব্রিড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), সিসিইউ (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), ওষুধের স্টোররুমও। হামলা চালানো হয় হাসপাতালের বাইরের চত্বরেও। আরজি করে হামলার সময়ে বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের পতাকা দেখা গিয়েছে বলে দাবি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশের তরফেও জানানো হয়, হাসপাতালে হামলার সময় আরজি করে ধর্নায় বসেছিলেন মিনাক্ষীরা। এই ঘটনার পরেই লালবাজারের তরফে মিনাক্ষী-সহ সাত বাম নেতা-কর্মীকে তলব করা হয়।