গত কয়েক বছরে বিধাননগর পুর এলাকায় ধারাবাহিক ভাবে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছিল।
অবশেষে পতঙ্গ বিশারদ নিয়োগের প্রস্তাব গৃহীত হল বিধাননগর পুরসভায়। এর আগে একাধিক বার নিয়োগের কথা উঠলেও শেষ পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। সূত্রের খবর, সম্প্রতি পুরসভার মেয়র পরিষদের বৈঠকে এই পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে।
গত কয়েক বছরে বিধাননগর পুর এলাকায় ধারাবাহিক ভাবে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছিল। রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুও ঘটেছে। তার প্রেক্ষিতে মশার প্রকোপ বৃদ্ধি ঠেকাতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরামর্শ মেনে কাজ করা হয়েছে বলে পুরসভা দাবি করলেও। পাশাপাশি এ-ও জানিয়েছে, এত দিন পতঙ্গ বিশারদের জন্য তাকিয়ে থাকতে হত স্বাস্থ্য দফতরের দিকে।
পুর কর্তাদের মতে, চাইলেই পতঙ্গ বিশারদ পাওয়া মুশকিল। স্বাস্থ্য দফতর যাঁকে পাঠাবে, তাঁর সময়ের উপরে নির্ভর করতে হয়। সে ক্ষেত্রে পুরসভার নিজস্ব পতঙ্গ বিশারদ থাকলে মশা চিহ্নিতকরণ এবং নিয়ন্ত্রণে আরও গতি আনা সম্ভব। ইতিমধ্যেই নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি পতঙ্গ বিশারদ নিয়োগ করে কাজে গতি এনেছে বলে দাবি প্রশাসনের।
কিন্তু বিধাননগর পুরসভায় তেমনটা হচ্ছে না বলেই সূত্রের খবর। ৪১টি ওয়ার্ডে স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি এলেও এত বড় এলাকায় প্রয়োজন মতো পতঙ্গ বিশারদ কাজে লাগানো যাচ্ছে না। বাসিন্দাদের প্রশ্ন ছিল, প্রতি বছর মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি সত্ত্বেও পতঙ্গ বিশারদের জন্য স্বাস্থ্য দফতরের উপরে কেন নির্ভরশীল হতে হবে? সেই কারণেই পতঙ্গ বিশারদ নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পাশাপাশি আরও দু’জন স্যানিটারি ইনস্পেক্টর নিয়োগের চিন্তাভাবনা করছে পুরসভা। এই মুহূর্তে দু’জন স্যানিটারি ইনস্পেক্টর থাকলেও তা এতগুলি ওয়ার্ড দেখভালের পক্ষে যথেষ্ট নয় বলে জানাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।
মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় জানান, নিজেদের পতঙ্গ বিশারদ থাকলে মশা দমনের কাজে গতি আসে। সে কথা ভেবেই এ বার পতঙ্গ বিশারদ নিয়োগের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে পুরসভায়।