প্রতীকী চিত্র।
রাস্তা থেকে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কাজ আকছারই করে থাকেন পুলিশকর্মীরা। এ বার ১৯ বছরের এক তরুণের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল এক সিভিক ভলান্টিয়ারের।
কালীপুজোর রাতে বাগুইআটির নারায়ণতলা মোড়ের কাছে বাইক নিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েন বিধাননগর কমিশনারেটের এক সিভিক ভলান্টিয়ার। রাস্তায় রক্তাক্ত হয়ে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকেন প্রকাশ ঘোষ নামের ওই ব্যক্তি। অভিযোগ, আশপাশ দিয়ে চলে যাচ্ছিল একের পর এক গাড়ি, বাইক। পথচারীরাও চলে যাচ্ছিলেন পাশ কাটিয়ে। কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি। ওই সময়ে রাস্তা দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন বাগুইআটির বাসিন্দা সুদীপ্ত মণ্ডল। একটি মুদিখানার দোকানে কাজ করেন তিনি। আহত এক ব্যক্তিকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে বন্ধুদের সাহায্যেই পথচলতি ফাঁকা একটি অ্যাম্বুল্যান্সকে দাঁড় করান ওই তরুণ। অজ্ঞাতপরিচয় সেই আহত ব্যক্তিকে প্রথমে তাঁরা নিয়ে যান বাগুইআটিরই একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট জানাচ্ছে, ওই অবস্থায় প্রকাশকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সুদীপ্তর পকেটে তখন ২০ টাকা পড়ে। অ্যাম্বুল্যান্সের চালককে বুঝিয়ে সুদীপ্ত এবং তাঁর বন্ধুরা প্রকাশকে আর জি করে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর মাথায় আটটি সেলাই পড়ে। দুর্ঘটনায় তাঁর মাথায় আঘাত লেগেছিল। সারা রাত সবাই হাসপাতালেই কাটান। শুক্রবার সুদীপ্তকে সংবর্ধনা দেন বিধাননগর কমিশনারেটের সহকারী কমিশনার (বিমানবন্দর) সুরজিৎ দে এবং বিমানবন্দর থানার ওসি শান্তনু সরকার।
সুদীপ্ত বলেন, ‘‘আমি আমার কাজ করেছি মাত্র। বন্ধুরা বলেছিল হাসপাতাল থেকে বাড়ি চলে যেতে। কিন্তু ওঁর সঙ্গে কেউ না থাকায় হাসপাতালেই থেকে যাই। পরে ওঁর মানিব্যাগ হাতড়ে সিভিক ভলান্টিয়ারের পরিচয়পত্র পাই। তাই দেখে আমি বিধাননগর কমিশনারেটে ফোন করে দুর্ঘটনার খবর দিই। খবর পেয়ে পুলিশ আধিকারিকেরা হাসপাতালে যান।’’