পদার্থবিদ্যায় কতটা আগ্রহ পড়ুয়ার, পরখ কলেজের

যাঁরা পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়ার কথা ভাবছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা জানতে চাইছেন সত্যিই বিষয়টি নিয়ে পড়তে ওই পড়ুয়ারা কতটা আগ্রহী এবং স্নাতক স্তরে পদার্থবিদ্যা পড়ার চাপ তাঁরা নিতে পারবেন কি না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৯ ০০:৪৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

‘অনার্সের বিষয় হিসেবে কেন পদার্থবিদ্যাকেই বেছে নিলে? এই বিষয়ের উপরে সাম্প্রতিক কোনও গবেষণাপত্র কি পড়েছ?’ বঙ্গবাসী কলেজে পদার্থবিদ্যা অনার্স নিয়ে ভর্তি হতে ইচ্ছুক পড়ুয়াদের এমনই নানা প্রশ্ন করলেন সেখানকার শিক্ষক-শিক্ষিকারা। জানতে চাইলেন, সত্যিই তাঁরা পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়তে আগ্রহী না কি উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞানে ভাল নম্বর পেয়ে পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়ার কথা ভাবছেন।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত শিক্ষাবর্ষে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে কলা ও বিজ্ঞান শাখায় চালু হয়েছে পছন্দসই মিশ্র পাঠ (সিবিসিএস)। এই মুহূর্তে কলেজগুলিতে চলছে ভর্তি প্রক্রিয়া। বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়ে দিয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ছাত্র ভর্তি করতে হবে। বঙ্গবাসী কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, সেই নিয়ম মেনেই তাঁদের কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে। তবু যাঁরা পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়ার কথা ভাবছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা জানতে চাইছেন সত্যিই বিষয়টি নিয়ে পড়তে ওই পড়ুয়ারা কতটা আগ্রহী এবং স্নাতক স্তরে পদার্থবিদ্যা পড়ার চাপ তাঁরা নিতে পারবেন কি না।

বুধবার ছাত্রছাত্রী-শিক্ষক-অভিভাবকদের নিয়ে এক আলোচনায় শিক্ষকেরা তিন পড়ুয়াকে চিহ্নিত করেছেন, যাঁরা সিবিসিএস পাঠ্যক্রমে পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়ার জন্য ঠিক তৈরি নন বলে তাঁদের মনে হয়েছে। যেমন মালদহের গঙ্গারামপুরের এক অভিভাবক তাঁর একমাত্র ছেলেকে বঙ্গবাসী কলেজে পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়ানোর জন্য ভর্তি করেছেন। কিন্তু ওই ছাত্রের সঙ্গে কথা বলে শিক্ষকেরা বুঝতে পারেন, পদার্থবিদ্যার বদলে অন্য কোনও বিষয় নিয়ে পড়লে তাঁর উপকার হবে।

Advertisement

বঙ্গবাসী কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রধান পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান শাখায় ভাল নম্বর পেলেই অনার্সে সায়েন্স নিয়ে পড়ার হিড়িক শুরু হয়। বিশেষত অনেকেই পদার্থবিদ্যার দিকে ঝোঁকেন। কিন্তু সত্যিই কি তাঁরা সায়েন্স পড়তে আগ্রহী? মূলত তা জানতেই ওই কাউন্সেলিংয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। পড়ুয়াদের পাশাপাশি সেখানে ছিলেন অভিভাবকেরাও।’’

পদার্থবিদ্যার শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, অভিভাবক ও পড়ুয়াকে কাউন্সেলিংয়ের পরেও যদি কেউ সেই বিষয় নিয়ে পড়তে চান, সে ক্ষেত্রে তাঁদের কিছু করার নেই। কারণ, ওই ছাত্রছাত্রীরা উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞানে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি হয়েছেন। পার্থবাবুর কথায়, ‘‘দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় দেখেছি, বহু পড়ুয়া উচ্চশিক্ষায় পদার্থবিদ্যার চাপ নিতে না পেরে এক সময়ে হারিয়ে গিয়েছে। কারও কারও ক্ষেত্রে অবসাদ গ্রাস করেছে। যার প্রভাব পড়েছে তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে। তাই আমাদের কলেজে পদার্থবিদ্যা নিয়ে ভর্তি হওয়ার আগে সকলকে এক বার সচেতন করা হল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement