রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল চিত্র।
মাস ছয়েক আগে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আদিবাসী শিক্ষিকাকে জাতি বিদ্বেষমূলক কথা বলে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছিল। তার তদন্তে নেমে জানা গেল, ওই দিন পাঁচ ঘণ্টা ধরে তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছিল। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠকে পেশ করা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজ না মেলায় প্রমাণ হয়নি যে তাঁকে জাতি বিদ্বেষমূলক কথা বলা হয়েছিল। ভবিষ্যতে এমন যাতে না ঘটে, তা বিশ্ববিদ্যালয়কে সুনিশ্চিত করতে হবে।
গত জুনে রাজ্যের শাসকদলের ছাত্র শাখারই কয়েক জন সদস্যের বিরুদ্ধে জাত তুলে ওই শিক্ষিকাকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। কয়েক জন শিক্ষক এর প্রতিবাদ করায় তাঁদেরও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদে সংস্কৃত, শিক্ষা, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিভাগীয় প্রধানেরা পদত্যাগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, কেউ দোষী প্রমাণিত হলে, কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য সব্যসাচী বসুরায়চৌধুরী বলেন, ‘‘শিক্ষিকা হেনস্থার ঘটনা অভিপ্রেত নয়। কমিটি সুপারিশ করেছে অভিযুক্ত পড়ুয়ারা যেন ওই শিক্ষিকার কাছে ক্ষমা চান।’’
রবীন্দ্রভারতীর কলা বিভাগের শিক্ষক সংসদের সম্পাদক অধ্যাপক দেবব্রত দাস বলেন, ‘‘রিপোর্ট দেখে আলোচনার মাধ্যমে পদক্ষেপ স্থির করা হবে।’’ পাশাপাশি তাঁদের প্রশ্ন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরা থাকলেও ফুটেজ কেন পাওয়া যাচ্ছে না?